কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে (Alipore Zoo Hospital) বাঘিনী জিনাতকে (Zeenat) নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। শরীরে জলাভাব, খাবারে অনীহা—জিনাত কি আদৌ সুস্থ হবে? ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাব কাটলেও তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা কমছে না। তরুণ বাঘিনী হওয়ায় দ্রুত সেরে উঠছে বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনও সময় লাগবে। আলিপুরে তার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, জিনাতকে কি আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে?
বাঘিনী জিনাতের চিকিৎসা চলছে আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাবে তার শরীরে জলাভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া খাবারের প্রতি অনীহাও দেখা গিয়েছে, যা সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে হয়। তবে জিনাত তরুণ বাঘিনী হওয়ায় দ্রুত সেরে উঠছে। পশু চিকিৎসক এবং কিপারদের তত্ত্বাবধানে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে বসতে চলেছে বৈঠক
সোমবার রাজ্যের মুখ্য বনপাল দেবল রায়-সহ বন দফতরের শীর্ষ কর্তারা তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। এদিনই ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক আলিপুর চিড়িয়াখানায় এসে জিনাতের অবস্থা দেখে যান। সিমলিপাল থেকেই জিনাত ঝাড়খণ্ড-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া হয়ে বাঁকুড়ায় আসে। বনকর্মীদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সে রানিবাঁধের গোঁসাইডি গ্রামে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল।
জিনাতকে ধরতে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ দলকে আনা হয়। পুরুলিয়ার রাইকার জঙ্গলে জাল পেতে ধরা না পড়ে সে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে। গলায় থাকা রেডিও কলারের সাহায্যে তার গতিবিধি নজর রাখা সম্ভব হলেও তাকে বশে আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে তাকে ধরে আনা হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার কারণে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাবে খাবারের প্রতি অনীহা স্বাভাবিক। তার গলায় রেডিও কলার থাকায় বনকর্মীরা তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। গত এক সপ্তাহে প্রচুর শিকার খাওয়ায় পেট ভরা থাকায় সে নতুন করে কিছু খাচ্ছে না। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জিনাত সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাকে ফের সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যের বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জিনাতের চিকিৎসার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও তার ভিডিও শেয়ার করে বনদফতরের কাজের প্রশংসা করেছেন।
দেখুন আরও খবর: