কলকাতা ওয়েব ডেস্ক: টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের অনেক নেতানেত্রী নির্দল প্রার্থী হিসেবেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুরভোটে প্রার্থী হতে না পারায় তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। শনিবার প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেদিনই পরিষ্কার হয়ে যাবে ১০৮টি পুরসভায় তৃণমূলের কতজন বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রী নির্দল হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে থাকছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের আগেও মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের টিকিট প্রত্যাশীদেরক ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলে। একাধিক জেলায় টিকিট না পাওয়া নেতানেত্রীরা নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
পুরুলিয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মৌসুমি ঘোষ নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী না হওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মঙ্গলবার।তিনি বলেন, সাজানো বাগান ছেড়ে দেব না। বারবার দলকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই নির্দল হয়ে লড়ব। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন দূর্বা দত্ত।
আরও পড়ুন: Birbhum: অবৈধ সম্পর্কের জের? স্ত্রীকে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট, মৃত্যু কলেজ ছাত্রীর
পাশাপাশি পুরুলিয়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট পেয়েও নির্বাচনে লড়তে না চেয়ে দলের কাছে লিখিত আবেদন করেন সত্য বাউরি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বৈদ্যনাথ মণ্ডল।
পুরুলিয়ার ১০, ১২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও একাধিক ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধরা মনোনয়নপত্র পেশ করেন এদিন। ১০ ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌরব সিং বলেন, অন্যান্য দলের কাছ থেকে তৃণমূলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। অন্যান্য দল যেভাবে যুবদের তালিকায় জায়গা দিয়েছে, তৃণমূল তা দেয়নি।
১২ ওয়ার্ডে তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতির্ময় ব্যানার্জির ওয়ার্ডে দুজন তৃণমূল কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক। অন্যজন প্রয়াত প্রাক্তন কাউন্সিলর সম্পু কর্মকারের স্ত্রী। এছাড়াও দুবারের কাউন্সিলর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
অন্যদিকে, টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মানোয়ারা বেগম। তাঁর স্বামী তথা কাজী আতিবর রহমানের অভিযোগ, ভোটে টিকিট দেওয়ার জন্য আই প্যাকের লোক পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। তিনি দলকে জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি। স্থানীয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগও আনেন আতিবর।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন জানান, যাঁদের প্রতীক দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই দলের প্রার্থী। কোথায় কে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন বা হবেন, তার কোনও তথ্য এখনও দল পায়নি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে মানুষ পুরভোটেও জয়ী করবে। তাঁর দাবি, আর তিন-চারদিন পরেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ মিটে যাবে। দল ঐক্যবদ্ধই আছে।