কলকাতা: শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বিক্ষোভের জেরে ভারতে চলে আসার পর বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে শপথ গ্রহণ করানো সহ সব ভূমিকায় দেখা যায় রাষ্ট্রপতি (President) মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকে (Mohammad Shahabuddin)। হাসিনা ঘনিষ্ঠ বিচারপতি, আমলা, পুলিশ, সেনা আধিকারিক সহ কোপ নেমেছে অনেকের উপরে। তবে একদা হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও অসন্তোষ ব্যক্ত করতে দেখা যায়নি সরকারের কাউকে। এবার আড়াই মাসের মাথায় নিশানায় খোদ রাষ্ট্রপতি। সৌজন্যে রাষ্ট্রপতির একটি ইন্টারভিউতে হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না জানা নেই বলে তাঁর মন্তব্য। যে ঘটনায় আলোড়ন পড়ল ঢাকা ও আন্তর্জাতিক মহলে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে মিথ্যাচার বলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (Asif Najrul)। সোমবার তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি এটা হচ্ছে মিথ্যাচার। এটা হচ্ছে ওঁর শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ অগাস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পিছনে তিনি বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওঁর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। উনি তা গ্রহণ করেছেন। উনি আর এই পদে থাকার যোগ্য কি না সেই সম্পর্কে প্রশ্ন আসে।
কলকাতার একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মানব জমিন পত্রিকাকে দেওয়া ইন্টারইভিউতে মহম্মদ শাহাবুদ্দিন জানিয়েছিলেন, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকেও তিনি এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তবে ওয়াকারও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি। সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন যে তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে সেটি হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলে অনুমান সেনাপ্রধানের। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদের এক সচিব রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন হাসিনার পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহের জন্য। তখনও রাষ্ট্রপতি ওই সচিবকে কোনও নথি দিতে পারেননি। তবে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন এটাই সত্য। যাতে এই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনকারীদের রাজাকার বললেন হাসিনা পুত্র
দেখুন অন্য খবর: