কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Saurav Ganguly) জমি রাজ্যের। অভিযোগ চিটফান্ড সংস্থা প্রয়াগের জমিকে লিজ দিয়েছে রাজ্য। ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ আমানতকারীরা। তবে জনস্বার্থ মামলার তকমা পেল না আমানতকারীদের দাবি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ফেরত পাঠাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রয়াগ ফিল্ম সিটির প্রায় ৩৫০ একর জমি ১ টাকায় সৌরভকে কীভাবে দিল রাজ্য সরকার! এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ প্রয়াগ চিটফাণ্ড সংস্থার অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের লিজ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য তাদের কিছু না জানিয়েই আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া এইভাবে জমি হস্তান্তর করতে পারে না, তা অবৈধ। এ ব্যাপারে আদৌ কোনও অনিয়ম হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এই রিপোর্ট তলব করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চেই চিটফাণ্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: নদিয়ায় মধ্যরাতে পুরসভার তরফে ফুটপাত দখল মুক্ত করা হল
আমানতকারীদের আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ফিল্ম সিটির যে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে সেটা সাধারণ আমানতকারীদের টাকায়। সেই টাকা আগে ফেরত দেওয়া হোক। এই বিষয়ে প্রয়াগের আইনজীবী বলেন, আমরা ওই জমির লিজ পেয়েছি। এই অবস্থায় আমাদের কিছু না জানিয়ে সরকারের অন্য কাউকে জমি দিয়ে দেওয়া অবৈধ।
আমানতকারীদের আইনজীবী আরও বলেন, প্রয়াগ ফিল্ম সিটির মোট ৭৫২ একর জমির কিছুটা ওদের কেনা । কিছুটা লিজ।সরকার না দেখে ৩৫০ একর জমি সৌরভ গাঙ্গুলিকে এক টাকায় দিয়ে দিয়েছে। সরকার যা খুশি করুক। আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। ২৭০০ কোটি টাকার মতো তোলা হয়েছে। সেই টাকা নিয়ে ফিল্ম সিটি বানানো হচ্ছে। এই টাকা সরকার ফেরত দিক আগে সাধারণ মানুষকে, তারপর ওই জমি নিয়ে যা খুশি করুক। কিন্তু রাজ্য তালুকদার কমিটির বক্তব্য না শুনে সৌরভকে এক টাকায় সেই জমি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চিটফাণ্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাক্তন বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। চিটফান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস পি তালুকদারের নির্দেশ ছিল, রাজ্যে যেহেতু ফিল্মসিটি নেই। সেটাকে ডেভেলপ করলে লাভ হবে রাজ্যের মানুষের । কোনও ইন্ডাস্ট্রি করলে তা হবে না। মামলার শুনানি চলাকালে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ ছিল, চিটফান্ড মামলায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনকারি সংস্থার সঙ্গে আমানতকারীদের সমস্যার বিষয় বিচার হয়। কিন্তু যেহেতু এখানে রাজ্যের ভূমিকা আছে তাই আমানতকারীদের আবেদন জনস্বার্থ মামলার সমতুল্য। আদালতের এই পর্যবেক্ষণের জন্যই আমানতকারীরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আরও খবর দেখুন