কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সিআইএসএফ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিমকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছয় সিআইএসএফ (CISF)।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সমাজের সর্বস্তরে মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। গত ১৪ অগস্ট এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মীসূচীর মধ্যেই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় আরজি করের এমার্জেন্সিতে। ঘটনায় আবত হয়েছিল আন্দোলনরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৪ আগস্ট রাতে শুধু হাসপাতাল নয়, হস্টেলেও আক্রমণ করা হয়েছিল। মহিলা রেসিডেন্টদের সর্বোচ্চ হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই রাতে পুলিশের ভূমিকা। প্রধান বিচাপতি জানতে চান যখন হাসপাতালে ভাঙচুর হচ্ছিল তখন পুলিশ কী করছিল। যেখানে জুনিয়র চিকিৎসকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল সেখানে বহিরাগতরা কীভাবে ঢুকলো। প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের সুুরক্ষায় জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপ্রিম নির্দেশ
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ এই ঘটনাই প্রমাণ যে আরজি করে ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যেই অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ৩০-৪০ জন মহিলা, ৬০-৭০ জন পুরুষ ডাক্তার আছেন। শীর্য আদালতের নির্দেশ, শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য নয়, পরিষেবার স্বার্থে সমস্ত চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিত। তাই সিআইএসএফ (CISF) সিআরপিএফ (CRPF) পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital)।
দেখুন ভিডিও