কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ অভিযানে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। ‘মেয়েদের রাত দখল’ অভিযানের মাঝেই হামলার চালানো হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) এর্মাজেন্সিতে। ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Kolkata Police)। আর সেই সুযোগেই প্রায় শতাধিক হামলাকারীর ওই তাণ্ডব চালিয়েছিল হাসপাতালে। প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে। হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে? উদ্দেশ্য কী ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) তৈরি করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম তৈরি হয়েছে বলে খবর।
গত ১৪ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জরুরি বিভাগে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলার জেরে ভেঙে তছনছ হয়ে যায় হাসপাতাল। জখম হন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। জরুরি বিভাগ, ওষুধের স্টোররুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নষ্ট হয়েছে কয়েক লাখ টাকার জীবনদায়ী ওষুধও। যা নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে হয়েছে পুলিশকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগে কার্যত দায় স্বীকার করে নেন সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, আরজি করের সামনে আন্দোলন যে আচমকা হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, ভাবতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় ভুল ছিল। আমাদের ব্যর্থতা বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, সিট গঠন নবান্নের
হামলার ঘটনার দ্রুত কিনারা করতে ১৫ সদস্যের সিট গঠন করল লালবাজারের (Lalbazar) গুন্ডাদমন শাখা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৭ জনের কাছাকাছি গ্রেফতার হয়েছে।আপাতত সবদিক খতিয়ে দেখবেন সিটের সদস্যরা। এরাই দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
দেখুন ভিডিও