কলকাতা: শেখ হাসিনার (Seikh Hasina) পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পরেও শান্ত হয়নি সেখানকার পরিস্থিতি। সরকার পতনের পরই বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) জেল থেকে মুক্ত কয়েক’শ বন্দি (Bangladesh Many Convicts Free Jail)। কারাগারে হামলা হওয়ায় মুক্ত হয়েছেন নিষিদ্ধ জামাতের সদস্য থেকে ইসলামিক ছাত্র শিবিরের বন্দিরাও। ১৩টি থানা ও দুটি কারাগারে হামলা চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক বন্দিকে মুক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাতেই বেড়েছে আতঙ্ক। সতর্ক করা হয়েছে ভারতের বিএসএফকে।
সোমবার প্রবল জনরোষের মধ্যেই দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামি লিগের একাধিক নেতা দেশত্যাগ করেছেন। পালিয়েছেন ছাত্রলিগের বেশকিছু নেতাও। হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার একদিন আগেই পালিয়েছিলেন আওয়ামি লিগের সভাপতি ওবাইদুল কাদের। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন তিনি, আর এক সূত্রে জল্পনা, নয়াদিল্লিতে আছেন কাদের। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ধরে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সলমন এফ রহমান রবিবার দেশ ছেড়েছেন। তবে তিনি কোন দেশে গিয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। জ্বলছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের আওয়ামি লীগের অফিস। ঢাকা-সহ বিভিন্ন জেলায় রাতভর চলেছে সংঘর্ষ, গুলি। আওয়ামি লীগের নেতা মন্ত্রী সাংসদদের বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।
আরও পড়ুন: হাসিনার আগে পরে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামি লিগের এইসব নেতারাও!
শেরপুর জেলে হামলা চালিয়ে ৫০০-র বেশি বন্দিকে নিয়ে পালায় উন্মত্ত জনতা। এদের মধ্যে থাকতে পারে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন ও আনসারুল বাংলার জঙ্গিরাও। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে জনা ২০ দাগী সন্ত্রাসবাদী। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ৬টি থানায় লুঠপাট চালানো হয়েছে। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জেরে জামাত ও ইসলামিক ছাত্র শিবিরের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে মদত দেওয়ার মতো বেশ কিছু অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। তারাও এবার মুক্ত হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় চিন্তায় ভারতেরও। সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বিএসএফ জওয়ানেরা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরে মহদিপুর, হিলি, ফুলবাড়ি, চ্যাঙরাবান্ধায় বিশেষ নজর রয়েছে।
অন্য খবর দেখুন