নয়াদিল্লি: দিল্লি (Delhi) যেন ক্রমশই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হলে চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।চিকিৎসকেরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন, এন-৯৫ মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ব্যাপক দূষণের কারণে এবার সব আদালতকে যথাসম্ভব অনলাইনে শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ।
মামলাকারী বা তার আইনজীবী সশরীরে হাজির না থাকলেও যথাসম্ভব অনলাইনে শুনানি করার জন্য দিল্লির সব আদালতকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
দিল্লির বায়ু দূষণ সংকটজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছনোর পরেই এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া তুষার মেহতা, বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল, গোপাল শঙ্করনারায়ণ এবং বিকাশ সিংয়ের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা পর এক পর্যবেক্ষণে এই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, সোমবারই দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সশরীরে স্কুলে যাওয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো দিল্লি সরকার গতকাল রাতেই প্রয়োজনীয় ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন:২০২৫-এ ভারত সফরে পুতিন ! চূড়ান্ত হয়নি দিনক্ষণ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারও ‘অতি ভয়ানক’ দিল্লির বাতাস। বাতাসের গুণমান সূচক প্রায় ৫০০ ছুঁয়েছে। সকাল থেকে ধোয়াঁশার চাদরে ঢেকে রয়েছে রাজধানী দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। কমেছে দৃশ্যমানতা। এ দিন সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক ৪৯৪ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, চালু করা হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চতুর্থ স্তরের (সর্বোচ্চ) পদক্ষেপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি ৪)।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই বলে দিয়েছে, আদালতকে না জানিয়ে চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না। দূষণ মোকাবিলায় দিল্লির সরকার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করেছে সোমবার থেকে।
দেখুন অন্য খবর: