কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital Incident) সিবিআইয়ের (CBI) নজরে নির্যাতিতার বেশ কয়েকজন সহকর্মী। এমনকী নির্যাতিতার বাবা-মাও হাসপাতালের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও সন্দেহ করছেন, তাদের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিকিউরিটি সুপারভাইজার-সহ ১০ জনকে তলব করল সিবিআই। ঘটনার রাতে কোন কোন রক্ষী কর্মরত ছিলেন। কোন কোন ফ্লোরে কারা কারা ডিউটি ছিলেন, তা জানতে ডিউটি রোস্টার নিয়ে সুপারভাইজারকে তলব করেছে সিবিআই। যে দুই অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীকে আগেই হাসপাতালের তরফে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাদেরকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালেই ফের আরজি করে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তভার পাওয়ার পর এই নিয়ে পরপর চারবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেল সিবিআই। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে থ্রিডি স্ক্যানার মেশিন। আধুনিক প্রযুক্তির এই মেশিন ঘটনাস্থল থেকে সূক্ষ প্রমাণও সংগ্রহ করতে পারে। সূত্রের খবর আরজি করের মৃত মহিলা চিকিৎসকরের মা-বাবা তদন্তকারীকে জানিয়েছেন তাঁদের মেয়ের খুনের সঙ্গে বেশ কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। গোটা ঘটনায় হাত থাকতে পারে হাসপাতালেরই চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের। এমনকী মেয়ের কয়েকজন সহকর্মীর নামও সিবিআইকে জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন,রাত ২টোর পর মেয়েটি ঘুমোতে গিয়েছিল। তার আগে ওর সঙ্গে সহকর্মীরাও ছিলেন। পরের দিন সকাল ৯টায় দেহ উদ্ধার হয়। এতটা সময় তাঁর খোঁজ কেউ নিলেন না কেন?
আরও পড়ুন: 3D মেশিন নিয়ে আরজি করে সিবিআই
সিবিআই সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা যাঁদের যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, কলকাতা পুলিশের কয়েক জন আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাঁরা প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই কয়েকজন চিকিৎসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। টালা থানার ওসিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন আধিকারিককেও সিবিআই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এমনকী, লালবাজারের কয়েকজন পুলিশকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুলিশ কোন সূত্রে কী কী তথ্য জোগাড় করেছিলেন, তা জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
অন্য খবর দেখুন