কলকাতা: বৃহস্পতির (Jupiter) উপগ্রহ ইউরোপায় (Europa) প্রাণের উপযোগী পরিবেশ আছে কি না, তার সন্ধানে রকেট পাঠাল নাসা (NASA)। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়ল স্পেস এক্স (Sapace X) সংস্থার ফ্যালকন হেভি রকেট। মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ইউরোপা ক্লিপার। ৫.২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৪০০০ কোটি টাকা) মূল্যের মিশন দেখতে চায়, ইউরোপার ১০ মাইল পুরু বরফের আবরণের নীচের মহাসমুদ্র প্রাণ সহায়ক কি না।
নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্যান্ড্রা কোনোলি বলেছেন, “বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ইউরোপার বরফের আস্তরণের নীচে জল, শক্তি, রসায়ন, স্থিরতা আছে যা প্রাণের সঞ্চারে সহায়ক হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “ইউরোপা ক্লিপার মিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বৃহস্পতির প্রবল তেজস্ক্রিয়তা সামলে ইউরোপার পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।”
আরও পড়ুন: নোবেল জিতেই AI নিয়ে সতর্ক করলেন তারই ‘গডফাদার’!
In praise of mystery ✨
After a successful launch aboard a @SpaceX Falcon Heavy rocket from @NASAKennedy, @EuropaClipper is on its way from our ocean world to another to see if Jupiter’s moon Europa has conditions suitable for life: https://t.co/nfI8RjiAuQ pic.twitter.com/rLJdUg7VHk
— NASA (@NASA) October 14, 2024
১২৫০০ পাউন্ডেরও বেশি ভারী ইউরোপা ক্লিপার স্পেসক্রাফটে বসানো হয়েছে ন’টি বিশেষ যন্ত্র যা ইউরোপার মহাসাগরের গভীরতা, উপরিতলের যৌগ মিশ্রণ, চৌম্বক ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করবে। স্পেসক্রাফটটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গল এবং ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতির উদ্দেশে পাড়ি দেবেন। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে ১৮০ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে ২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়বে সে। এরপর চার বছর ধরে ইউরোপার পাশ দিয়ে ৪৯ বার উড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সৌরজগতের সবথেকে বড় গ্রহ বৃহস্পতির ৯৫টি উপগ্রহ আছে। তার মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম ইউরোপা, বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস মহাসমুদ্রে যত জল আছে দ্বিগুণ আছে ইউরোপায়। এই মিশনের একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী টম ম্যাকর্ড জানিয়েছেন, ইউরোপার উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে ১৯৯৫ সাল থেকে, অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল।