কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য সরকার দ্রুত এই ঘটনার তল পেতে তৎপর। স্বাস্থ্য ভবনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে গিয়েছেন ১১ জন। এসেছেন অসীম দাস মালাকার, নন্দিনী চ্যাটার্জী, সৌগত ঘোষ, সৌমিত্র ঘোষ, সরোজ মন্ডল, রুনা বল প্রমুখ। বাকি দু’জন সদস্য এসে পৌঁছলেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, বুধবার রাতে সিজারের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার পর শুক্রবার ভোরে প্রাণ হারান মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতি। চারজন প্রসূতি এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্যালাইন দেওয়ার পরেই অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। সেই ঘটনাতেই তদন্ত করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১৩ সদস্যের এক তদন্তকারী দল গড়ে দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চত্বরে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন: সরকারি জমি দখল করে বেসরকারি স্কুল! কী বলল হাইকোর্ট?
এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন (Nabanna)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রিপোর্ট চাইলেন স্বাস্থ্য সচিবের থেকে। দুদিনের মধ্যে দিতে হবে এই রিপোর্ট। রিপোর্টে জানাতে হবে—
ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার পরেও কি ওই কোম্পানির স্যালাইন দেওয়া হয়েছে?
ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার আগের স্যালাইন কি মজুত ছিল?
স্বাস্থ্য দপ্তরের কোন কোন আধিকারিক গোটা কাজটির তত্ত্বাবধান করেন? কী করে হল ওই প্রসূতির মৃত্যু?
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মৃত্যু হয় মামণির। পরিবারের দাবি, স্যালাইন দেওয়ার পরেই অবস্থার অবনতি ঘটে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রাথমিক রিপোর্টেও স্যালাইনকেই দায়ী করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যভবনকে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, স্যালাইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে অ্যালার্জি হয়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে অন্য ওষুধেও। তার জেরেই মৃত্যু।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে বিশেষজ্ঞদের টিম পাঠিয়েছেন। তারপরেই বলা যাবে। তিনি স্বীকার করেছেন, ওষুধের ব্যাচে বা স্যালাইনের ব্যাচে কোনও সমস্যা রয়েছে। পুরো রিপোর্ট আসলেই খোলসা হবে।
দেখুন খবর: