হাওড়া: পারিবারিক অশান্তির মীমাংসা করতে এসে শশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের শুলাটি সেপাই পাড়া এলাকায়। মারধরের অভিযোগ জুজারসাহ গ্রামঞ্চায়েতের উপপ্রধানের খলিল আহমেদের বিরুদ্ধে।
সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কান্দুয়ার ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন সেপাই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়। কিছু দিন আগে স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়ি চলে যান। সমস্যা মেটাতে সোমবার সন্ধ্যায় সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসে। সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, সেখানেই কথা কাটাকাটি শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। মীমাংসা সভা ছেড়ে চলে যায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা। তার কিছুক্ষন পরেই লোকজন নিয়ে এসে হামলার অভিযোগ গৃহবধূর পরিবার ও গ্রামবাসীদে। ওই সময় উপপ্রধান খলিলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসে। তাঁরা আলোচনার পর সাহাবুদ্দিনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি জমিতে বিজেপি নেতার অবৈধ নির্মাণ, চলল বুলডোজার
তারপরেও না কি সালিশি পর্ব চলতে থাকে। অভিযোগ, এর পর খলিল ফোন করে তাঁর দলবলকে ডেকে পাঠান। সেই সময় ঘটনাস্থলে দুটি ম্যাটাডোর এবং ৫০টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ জন সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ। তাঁরা ওই বাড়ি চড়াও হয়ে হামলা চালান। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি, একাধিক গাড়ি, বাইক।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: