মেদিনীপুর: বিষাক্ত স্যালাইনে (Saline) জেরে শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে (Midnapore Medical College) মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। অসুস্থ আরও চার প্রসূতি। তার মধ্যে একদনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এবার সেই ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন-কাণ্ড ঘিরে প্রতিবাদে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। শনিবারই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সামনে দফায় দফায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখায় বামেদের ছাত্র শিবির এসএফআই (SFI Protest Medical College)। বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ডিওয়াইএফআইও (DYFI Protest Medical College)। হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের (Congress Protest Medical College)কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থ যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যদের।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার মৃত্যু হয় মামণির। পরিবারের দাবি, স্যালাইন দেওয়ার পরেই অবস্থার অবনতি ঘটে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রাথমিক রিপোর্টেও স্যালাইনকেই দায়ী করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ভবনকে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, স্যালাইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে অ্যালার্জি হয়,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে অন্য ওষুধেও। তার জেরেই মৃত্যু। শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে গিয়েছেন ১১ জন। এসেছেন অসীম দাস মালাকার, নন্দিনী চ্যাটার্জী, সৌগত ঘোষ, সৌমিত্র ঘোষ, সরোজ মন্ডল, রুনা বল প্রমুখ। বাকি দু’জন সদস্য এসে পৌঁছলেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে বলে জানা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যুতে কড়া নবান্ন, মেদিনীপুরে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল
এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন (Nabanna)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রিপোর্ট চাইলেন স্বাস্থ্য সচিবের থেকে। দুদিনের মধ্যে দিতে হবে এই রিপোর্ট। রিপোর্টে জানাতে হবে, ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার পরেও কি ওই কোম্পানির স্যালাইন দেওয়া হয়েছে? ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার আগের স্যালাইন কি মজুত ছিল? স্বাস্থ্য দফতরের কোন কোন আধিকারিক গোটা কাজটির তত্ত্বাবধান করেন? কী করে হল ওই প্রসূতির মৃত্যু? এদিন তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছিল স্বাস্থ্যভবনের একটি বিশেষ টিম। তখনই বিক্ষোভ দেখায় বামেদের ছাত্র পরিষদ। একই ইস্যুতে সুর চড়িয়ে পথে নেমেছে প্রদেশ কংগ্রেসও। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকে তুলেছে অভিযোগের আঙুল। ‘বাতিল’ হওয়া স্যালাইন কীভাবে বাংলার হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার হচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
অন্য খবর দেখুন