নয়াদিল্লিঃ হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে বিজেপি সরকারের দশ বছরের উন্নয়নকে তুলে ধরার বদলে কংগ্রেসকে নিশানা করাই প্রচারের অস্ত্র করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রত্যেকটি সভাতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলিত বিরোধিতা, দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন কড়া ভাষায়। এবার ৫,০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী। প্রচার মঞ্চ থেকে বললেন, “দেশের যুবকদের মাদক সেবনের দিকে ঠেলে দিতে চায় কংগ্রেস। সেই টাকা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ব্যবহার করতে চায় ওই দল।”
২রা অক্টোবর দক্ষিণ দিল্লির মহিপালপুরের একটি গোডাউন থেকে ৫৬০ কিলোগ্রাম কোকেন ও ৪০ কেজি হাইড্রোপনিক মারিজুয়ানা উদ্ধার করে দিল্লি পুলিশ। মহারাষ্ট্রের এক সভা থেকে বোমা ফাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। এই মাদক চক্রের মূল অভিযুক্ত এক কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেস যুবকদের মাদকের দিকে ঠেলে দিতে চায় এবং সেই অর্থ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জয়ের জন্য ব্যবহার করতে চায়।”
আরও পড়ুনঃ বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্যকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, দিল্লির ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ ব্যক্তি। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা তুষার গোয়েলকে। ২০২২ পর্যন্ত দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের আরটিআই সেলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, তুষার গোয়েলের সমাজমাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে তিনি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের আরটিআই সেলের চেয়ারম্যান হিসাবে পদবি তালিকাভুক্ত করেছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রাজনৈতিক তরজা শুরু হতেই একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দল বিরোধী কাজকর্মের জন্য ২০২২ সালের অক্টোবরে দিল্লি প্রদেশ যুব কংগ্রেসের আরটিআই বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দল সূত্রে খবর, এরপর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই তুষারের।
দেখুন অন্য খবর