কলকাতা: সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে যেন ‘ডেলি-প্যাসেঞ্জারি’ করছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Medical College) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাতদিন সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবারেও তার অন্যথা হল না। এদিনও সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেবেন তিনি।
রোজই ম্যারাথন জেরা চলছে সন্দীপের। শোনা যাচ্ছে, তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথ্য গোপন করতে চাইছেন। তাঁর বয়ানের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানে বিস্তর অমিল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সন্দীপ সহ ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের চার জন চিকিৎসক পড়ুয়া। এছাড়া, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের এক ঘনিষ্ঠের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই আবেদনে অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, পুলিশের বাধা নেতাকর্মীদের
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, যাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতি ছাড়া ওই পরীক্ষা করা যায় না। পলিগ্রাফ পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য আদালতে প্রমাণ হিসাবেও গ্রাহ্য হয় না। এতে তদন্তে সুবিধা হয় মাত্র। সেই প্রক্রিয়ার আবেদন সিবিআই জানিয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে।
এদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়। কার্যত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিকেই মান্যতা দিল স্বাস্থ্যভবন। নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল-সহ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চার শীর্ষ আধিকারিককে সরাল রাজ্য সরকার। বুধবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
দেখুন অন্য খবর: