দিল্লি: আজ থেকে ৩৬ বছর আগে অর্থাৎ, ১৯৮৮ সালে সাহিত্যিক সলমন রুশদির লেখা উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে ভারত সহ অন্যান্য অনেক দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার এই উপন্যাসটির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় বছর পর অবশেষে দিল্লি হাই কোর্ট এই বিতর্কিত বইটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল। কিন্তু কেন এই বইটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল? কেনই বা এটির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার? চলুন একটু বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: সিঙাড়া চুরি! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এটিকে নিয়ে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। বিশেষ করে ১৯৮৯ সালে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি ঔপন্যাসিক রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সময় ভারত সহ বিভিন্ন দেশে, বিশেষত মুসলিমপ্রধান দেশে, বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। এই বই সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে যুক্তি দেখিয়ে বইটির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৎকালীন রাজীব গান্ধীর সরকার।
এরপর, ২০১৯ সালে এই বইটির নিষেধাজ্ঞার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন সন্দীপন খান নামের এক ব্যক্তি। আদালত এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের নির্দেশ দিলে ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস’ জানায়, শুল্ক আইন, ১৯৬২ অনুসারে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞার কোনও নথি তাদের কাছে নেই। পাশাপাশি, অন্য কোনও সংস্থাও এই নিষেধাজ্ঞার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি রেখা পল্লি ও বিচারপতি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রমাণের অভাবে বইটির নিষেধাজ্ঞার বৈধতা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বেঞ্চ মামলাকারীকে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি বিদেশ থেকে আনতে অনুমতি প্রদান করে।
দেখুন অন্য খবর: