দাসপুর: এক হাতে জুতো জোড়া, অন্য হাতে মিড ডে মিলের সবজির ব্যাগ। কাদামাটির রাস্তায় একটু ভারসাম্য হারালে আর রক্ষা নেই। ২ কিলোমিটার পথ হেঁটে প্রতিনিয়ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে আসছেন পাঁচ শিক্ষক। শুধু শিক্ষকেরাই নয়, গ্রামবাসীদেরও হাতে জুতা নিয়েই চলাচল করতে হয়। আর বাড়িতে আসতে গেলেও জুতো হাতেই আসতে হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কাদা রাস্তার জন্য আবার খালি পায়ে স্কুলে যায়। প্রায় দশ বছর ধরে এমন সমস্যা বলছেন এলাকার মানুষজন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নীচ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডিপুর গ্রামের এমনই হাল।
ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি, ভোট ফুরোলে দেখা নেই কারও। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের মানুষজন। গ্রামে প্রবেশ করার জন্য দুটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ওই রাস্তার হাল বেহাল। বৃষ্টি হলে কাদায় পরিণত হয়ে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর বর্ষাকালে সেই রাস্তার ছবি দেখলেই চমকে উঠবেন সকলে। গ্রামে ঢোকে না কোনও চার চাকার গাড়ি। কারও যদি মোটরবাইক থাকে তাও আবার কাদার জন্য গ্রামের বাইরেই রেখে আসতে হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে গ্রামের ভিতর কয়েক মিটার রাস্তা ঢালাই হলেও বেশির ভাগ অংশই কাদামাটির রাস্তা। রাস্তার বেহাল দশায় খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ যান না। আর বাড়িতেও কেউ আসেন না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির জেরে বন্য়ার পরিস্থিতি, জেলাশাসকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ মুখ্যসচিবের
স্থানীয়দের মতে, কারও শরীর অসুস্থ হলে, প্রায় দু’কিলোমিটার পেরিয়ে তাঁকে কাঁধে করে গ্রামের বাইরে নিয়ে আসতে হয়। গ্রামের রাস্তা মেরামতির জন্য ইতিমধ্যে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর সকলেই প্রশাসনকে জানিয়েছেন কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক অরুপ ধাড়া ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তাঁর আশ্বাস, রাস্তা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। পঞ্চায়েত প্রধান ছবি বাগরা বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া ধরা আছে। নিয়ম অনুযায়ী কাজ হবে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: