তমলুক: শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির (Shahid Matangini Panchayat Samiti) সভাপতির বিরুদ্ধে উঠল অবৈধ ভাবে টাকা নিয়ে PHE-র নির্মিত পাম্পে নিয়োগের অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরদ্ধে টাকা নিয়ে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন তারই সমিতির কর্মাধ্যক্ষর। বিজেপি সভাপতির যোগসাজশ রয়েছে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে, দাবি স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের।
বর্তমানে, এই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তারই পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষা নিরুপমা সামন্ত এই মর্মে জেলা সভাধিপতির কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিরুপমা সামন্তর অভিযোগ, গত এক বছরে PHE-র তৈরী করা জল মিশন প্রকল্পে যে সমস্ত অপারেটর নিয়োগ হয়েছে তা বেআইনি। শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করছেন। যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাম সুপারিশ করা হচ্ছে কিন্তু এলাকায় বহু দুস্থ ছেলে রয়েছে তাদের নিয়োগ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তোর্সা, আতঙ্কে বাসিন্দারা
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা আদক মাইতি জানিয়েছেন, নিরুপমা সামন্ত গতকাল তাঁর কাছে আসেন এবং নাকি স্বীকার করেন জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের ধমকানিতে বাধ্য হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যদিও বামদেব গুছাইতের দাবি, সভাপতি তার নিজের দায়িত্ব নিজেই বুঝে উঠতে পারেননি। আমরাও না বুঝে ওনাকে সভাপতি করেছি। সভাপতির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনেন জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে।
প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে। কার্যত বিজেপি সভাপতি তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ রেখে অবৈধ নিয়োগ করছে বলেই দাবি বামদেবের। অপরদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানিয়েছেন, বিজেপি নেতাই বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন। প্রকাশ্যে এসে গেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একটি কাজের জায়গায় দাবিদার অনেকেই থাকে, যারা কাজ পাননি তারা জনমানসে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে।
আরও খবর দেখুন