কলকাতা: ভারতে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৫৩টি সড়ক দুর্ঘটনা এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, দেশের হওয়া দুর্ঘটনার মধ্যে ৪৫ শতাংশ দু-চাকা জড়িত। গড়করি টু-হুইলার কোম্পানিগুলোকে ক্রেতাদের হেলমেট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁর বার্তা, দেশে গাড়ি দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ফলে নির্মাতা সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে।
সন্ত্রাস, ও নকশালবাদের কারণে ভারতে যত না মানুষ মারা যান, তার চেয়েও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দেশের প্রতিদিন ঘটে চলা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গড়করি বলেন, উদ্বেগজনক যে 45% দুর্ঘটনায় দু-চাকার গাড়ি জড়িত। সঠিক হেলমেট ব্যবহারের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু রোধ করা যেত। তিনি আরও বলেন, অল্প বয়স থেকেই সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রে সচেতনতামূলক প্রচারণাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। টু-হুইলার নির্মাতাদের কাছে অনুরোধ করেন, টু-হুইলারের (Two Wheelers) সঙ্গে হেলমেট নিতেও গ্রাহককে উৎসাহিত করতে হবে। জীবন বাঁচাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে হিমাচল, রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি বিজেপির
মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেশে ৫ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে, এতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যান এবং তিন লক্ষ মানুষ আহত হন। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র ৩ শতাংশ বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বিশেষ করে সড়কে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সড়ক অডিট করা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি কমানোর জন্য সারা দেশের সড়ক নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অটল প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে গডকরি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা অবশ্যই সড়ক কাঠামোর উন্নতি। আমাদের অবশ্যই মানুষের আচরণ পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। বিশেষ করে দুচাকার চালক এবং পথচারীদের মতো গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। দুচাকার চালকদের পথে চলার সময় হেলমেট ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়।
তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকার, শিল্প এবং নাগরিকদের সমানভাবে এই সমস্যাটি মোকাবেলা করতে হবে। সাধারণ মানুষকে আইনের বিশ্বাস রাখতে হবে। ধীরে ধীরে আমরা দুর্ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারব। এবং আমাদের রাস্তা সবার জন্য নিরাপদ করে তুলতে হবে।
