মধুসূদন ভট্টাচাৰ্য, চন্দ্রকোনা: বিগত কয়েকবছর ধরে ধুঁকছে মাটির কাজের সাথে যুক্ত কারিগরেরা। তাদের দাবি বেশ কয়েক বছর আগে মাটির প্রদীপের (Earthen Lamp) চাহিদা ছিল, কিন্তু কয়েক বছর ধরে মাটির প্রদীপের চাহিদা একে বারে তলানিতে। বর্তামানে এই বছর চাহিদা নেই বললেই চলে ।
টুনি লাইট সহ রংবেরঙের রঙিন আলোর দাপটে নিভতে বসেছে চন্দ্রকোনার (Chandrakona) কুমোরপাড়ার (Kumarpara) মাটির প্রদীপ। মন মজেছে এলইডি লাইটে (LED Light)।
কালী পুজো (Kali Puja) আসলে, এসময় নাওয়া-খাওয়া ভুলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার কুমোরপাড়ার কারিগরদের ব্যস্ততা থাকতো চোখে পড়ার মতো। একটা সময় ছিল যখন কালী পুজোর আগে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজে চরম ব্যস্ততা ছিল কুমোরপাড়ার প্রতিটি বাড়িতেই। কিন্তু এখন সে সব অতীত। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার এখন মাটির প্রদীপ তৈরির কাজে যুক্ত। কালী পুজোর আগে তারাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু রোজগারের আশায়।এ পেশা বন্ধ করে অনেকেই চাষবাস বা অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে সংসার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন- শান্তিপুরের আগমেশ্বরী কালীপুজোয় মানা হয় বিশেষ এই নিয়ম
তেমনই একটি কুমোরপাড়ার করুণ ছবি উঠে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বাচকা গ্রামে। এই দুই এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার বরাবরই মাটির তৈরি সহ নানান জিনিস তৈরি করে সংসার চালাত। চাহিদা কমছে মাটির প্রদীপের ,জানাযায় বাজার ছেয়ে গিয়েছে টুনি লাইট,রঙবেরঙের এলইডি আলো সহ ছাঁচের ডিজাইনার মোমবাতি সাথে রয়েছে আতসবাজির দাপট।
ফলে ধীরে ধীরে বাজারে চাহিদা কমতে শুরু করে মাটির প্রদীপের,এই মাটির প্রদীপই একটা সময় কালীপুজোর আগে গ্রামবাংলার ঘর আলো করে রাখতো। ডিজিটালের যুগে সেসব বন্ধের মুখে,ফলে রুজিরোজগারে টান পড়েছে এইসকল কারিগরদের।
মহাজনদের কাছ থেকেও তেমন ভাবে মিলছে না ওডার, প্রতি পিস প্রদীপ ২ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে দাবি কারিগরদের।
দেখুন আরও খবর-