অমেঠি: মঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির তীব্র সমালোচনা, কী নেই সেই বক্তৃতায়! মোদির এহেন ভাষণ শুনতে ভিড় উপচে পড়বে, এমনটাই আশা করেছিল গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেই কারণে ভাড়া করা হয়েছিল হাজার হাজার চেয়ার। কিন্তু সিংহভাগ আসনই ফাঁকা থেকে গেল। অনেক কষ্ট করেও আসন ভরাতে পারলেন না আয়োজকরা।
যারা সভায় এসেছিলেন, তাঁরাও মোদির ভাষণ শোনার চেয়ে আরাম-আয়েশে জোর দিলেন বেশি। কেউ চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমোচ্ছেন, তো কেউ আবার মোবাইলে কথা বলেই চলেছেন। অনেকে আবার দল বেধে দিব্যি গল্প জুড়ে দিয়েছেন। মোদির অমেঠির সভার ইতিউতি এই চিত্রই চোখে পড়েছে। ৪০০-র বেশি আসন দখলের ডাক দিয়ে ভোটের ময়দানে নামা বিজেপির কাছে এই চিত্র নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।
উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপির মূল লড়াই সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে হলেও, আজ পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারে অমেঠি গিয়ে কংগ্রেসের প্রতি সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি এবং ‘পরিবারবাদী’ জাতিকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই রাজনীতি জাতির স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও এইসব নেতারা দ্বিধা করেন না। ভোটব্যাঙ্ক শক্ত হলেই তাঁরা সেনাবাহিনী ও পুলিস বাহিনীকে অপমান করে।
আরও পড়ুন: বিধানসভা অধিবেশনের সময় বিভ্রান্তি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অমেঠি ছাড়াও কপিলাবস্তুর সভা থেকে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, ‘ভোট এলেই মরসুমি নেতাদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ বাড়লে তাঁরা গায়েব হয়ে যান। আবার করোনা কমলে মাঠে নামেন। নির্বাচন এলে রাস্তায় নামেন। আবার ভোট শেষ হলেই ছুটি কাটাতে বিদেশে চলে যান। ওই মরসুমি নেতা ১০ মার্চ পরাজয়ের পরে আবারও বিদেশ ঘুরতে যাবেন।’