নয়াদিল্লি: ত্রিপুরা, গোয়া, অসম, মেঘালয়। রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে চাইছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা করতে গিয়ে কংগ্রেসের ঘরেই হাত দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এক সময়ের ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় জায়গা করে দিয়েছে। গোয়াতেও একই কৌশল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গোয়াতে গিয়ে বিজেপি তো বটেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ বার শোনা যাচ্ছে দুই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। রাজ্যসভার টিকিট কোনও ভাবে নিশ্চিত হলেই তাঁরা সোনিয়া গান্ধীর হাত ছাড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর।
কে এই দুই নেতা? একজন তৃণমূলের সরকারের হয়ে বেশ কয়েক বার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সওয়াল করেছেন। রাজধানীতে কংগ্রসের পরিচিত মুখ। আর এক জন কংগ্রসের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী। রাজীব গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ট।
আরও পড়ুন: Goenchi Navi Sakal: বিজেপি-কংগ্রেসের সমঝোতা রয়েছে, গোয়ায় সুর চড়ালেন মমতা
প্রথম চমক ছিল অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব। এক সময়ের মহিলা কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভানেত্রী। অসমের রাজনীতিতে সন্তোষমোহন দেবের ঘরানার যোগ্য উত্তরসুরী। কংগ্রেস ছাড়ার পর চলতি বছরেরই অগস্ট মাসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। দলের হয়ে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য অসম এবং ত্রিপুরায় কাজ করছেন।
গোয়াতেও তৃণমূলের বাজি লুইজিনহো ফলেইরো। গোয়ায় সাত বারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৩ সাল থেকে কংগ্রেসের নৌকায়। উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে কংগ্রেসের হয়ে দায়িত্ব সামলেছেন। এ বার তাঁকে বাজি ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কথা চলছে মুকুল সাংমার সঙ্গে। মুকুল মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এখন কংগ্রেসের হয়ে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই সম্ভবত দলবদল করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ৭ বছর ধরে শুধুই হারছে, গোয়ায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা
সূত্রের খবর দু’জন ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা বেশ কিছু দিন ধরেই যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। রাজ্যসভার টিকিট ফাইনাল হলেই দলবদল করবেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে রাজধানী দিল্লিতে যশবন্ত সিনহার মত কোনও বড় মাপের নেতার পর আরও দুই নাম যোগ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে।