শিলিগুড়ি: পুরনিগমের ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি৷ বিপক্ষকে গোল দিতে প্রচারে নেমে পড়ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা৷ কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দল৷ প্রার্থিতালিকা নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে৷ আসানসোলের পর এবার শিলিগুড়িতে (Siliguri Corporation) প্রার্থী বদলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ তালিকা প্রকাশের পরই কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে৷ কোথাও ওয়ার্ড অফিসে তালা ঝুলিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়ে এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা৷
আগামী ২২ জানুয়ারি বাকি তিন পুরনিগমের সঙ্গে শিলিগুড়িতেও ভোট৷ কিন্তু বেশ কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল৷ যেমন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতুল চক্রবর্তীকে টিকিট দিয়েছে দল৷ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ এলাকার তৃণমূল কর্মীরা৷ আগের কাউন্সিলর বিকাশ সরকারকেই প্রার্থী করতে হবে বলে গোঁ ধরেছেন তাঁরা৷ অন্যদিকে গতবারের বরো চেয়ারম্যান তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখিল সাহানি এবার টিকিট পাননি৷ নিখিলের অনুগামীরা শুক্রবার রাত থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ রবিবার সকালে বিকাশ এবং নিখিলকে দেখা যায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তুলতে৷
একই হাল ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে৷ গতবারের সিপিএম কাউন্সিলর তাপস চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়েছেন৷ সেই রাগে ওয়ার্ডের কর্মীরা ওয়ার্ড অফিসেই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন৷ প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১৫০ কর্মী-সমর্থক ব্লক সভাপতি দুলাল দত্তের কাছে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: Barasat: বর্ষবরণের রাতে বারাসতে আক্রান্ত দম্পতি, গৃহবধূকে ধর্ষণের হুমকি
এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে তৃণমূলের জয়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা নেতাদের৷ অনেকদিন ধরেই এই পুরনিগম তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অধরা। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন৷ শিলিগুড়িতে কখনও বামেদের কাছে নতুবা বিজেপির কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃণমূলকে৷ এই অবস্থায় রাজ্যের সব জায়গায় যখন তৃণমূলের ঝান্ডা উড়ছে তখন শিলিগুড়িতে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড গঠিত হবে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷