কলকাতা: কোচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন ভারতীয়। শুক্রবার সকাল থেকে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বার এই ঘটনায় বিএসএফকে একহাত নিলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর অভিযোগ, সীমান্তে পাচারের ঘটনায় বিএসএফের মদত রয়েছে। গুলি চালনার ঘটনায় দায় পুরোপুরি বিএসএফের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি।
উদয়ন বলেন, বিএসএফ-এর মদত ছাড়া সীমান্তে কোনও কিছুই পাচার করা সম্ভব নয়। কাটাতাঁরের বেড়া পেরিয়ে কীভাবে পাচার হয়, তা সকলেই জানেন। আমি সীমান্তবর্তী এলাকার বিধায়ক। এখানকার মানুষের সমস্যার কথা আমি জানি। এলাকার মানুষদের উপর জুলুম চালায় বিএসএফ। মাঝে মধ্যে দু’একজনকে গ্রেফতার করলেও পাচার চলতেই থাকে। কাঁটাতারের বেড়া একেবারে জিরো পয়েন্টে দেওয়ার দাবিও জানান দিনহাটার নবনির্বাচিত নিধায়ক।
আরও পড়ুন: সীমান্ত পাহারায় আরও বেশি ক্ষমতা বিএসএফের হাতে, বাংলা-পঞ্জাবকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা?
শুক্রবার ভোরে সিতাইয়ে সাত ভাণ্ডারি সীমান্তে বিএসএফ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে দু’ জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয়। মৃত ভারতীয়ের নাম প্রকাশ বর্মন। স্থানীয়দের দাবি, গরুপাচার ঠেকাতেই গুলি চালানো হয়েছে। নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন উদয়ন।
দিনহাটার বিধায়ক তিনি বলেন, কাউকে হত্যা করার অধিকার বিএসএফের নেই। গুলি করে পাচারকারীদের আটকাতে পারতেন তারা। মাথায় গুলি লেগে প্রকাশ বর্মনের মৃত্যু কেন হল? বিএসএফের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাচ্ছি। বিএসএফকে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করুক। না হলে ভবিষ্যতে অশান্তি আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: গরু পাচারকারী সন্দেহে BSF-এর গুলি, মৃত দুই বাংলাদেশি-সহ এক ভারতীয়
অক্টোবরে পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালাতে পারবে বিএসএফ। প্রয়োজনমাফিক জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে তারা। এই প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, এলাকা বৃদ্ধির ফলে বিএসএফের জুলুমবাজি আরও বাড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমরাও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি।