কলকাতা: সৌগত রায়ের বয়স হয়েছে। বয়স্ক মানুষ হিসাবে কখন, কোথায় ,কী মন্তব্য করছে তা নিয়ে অযথা জলঘোলা না করে, ঠিক বা ভুলের বিচার না করে শুনে নেওয়া উচিত। সৌগত রায়ের সমস্যাটা হল, যখন যে কথাটা যেখানে বলার প্রয়োজন থাকে, উনি তখন সেকথা না বলে পর্দার আড়ালে চলে যান। সেই কথাটাই ক’দিন পরে যেখানে বলা উচিত নয়, সেখানে মন্তব্য করে পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তাই সৌগত রায়ের কথার গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রবিবার এভাবেই তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ করলেন মদন মিত্র।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে কেকে-এর অনুষ্ঠানে মোটা টাকা খরচ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সৌগত রায়। দলীয় একটি অনুষ্ঠানে নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দমদমের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা এল কোথা থেকে? এর পাল্টা মদন বলেন, হিসেব ঠিক রেখে মানুষের কাছ অর্থসাহায্য নিয়ে যদি কেউ কোনও অনুষ্ঠান করে, তাতে ক্ষতির কিছু নেই। মদনের সাফাই, আর যাই হোক তৃণমূল তোলাবাজির টাকায় এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করে না। তাই এই সমস্ত অনুষ্ঠান নিয়ে অযথা প্রশ্ন তোলা বাঞ্ছনীয় নয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজের অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে জলঘোলা না করে একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত সৌগতবাবুর, মন্তব্য মদনের। মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ সৌগত বলেছিলেন, ‘এই যে কৃষ্ণকুমার গান গাইতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা কোথা থেকে এল৷ ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন নিয়েছে৷ কে দিয়েছে? টাকা তো হাওয়া থেকে আসে না৷ এই রকম প্রচণ্ড খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনার কি খুব দরকার ছিল? অনেক ছেলে হাল্লা করল, নাচল৷ তাতে কী লাভ হল?’
আরও পড়ুন: Khardah: ‘পুলিস’ স্টিকার মারা গাড়ির বনেটে যুবক, গ্রেফতার লেক থানার এসআই