বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতায় তৃণমূলের পাশে বাম ও কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে হাত ও কাস্তে শিবির। রাজ্যকে ভাগ করার চক্রান্ত বিজেপির পরিকল্পিত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। নতুন নতুন তত্ত্ব তৈরি করে রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। পরিকল্পিতভাবে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী নেতাকে দিয়ে বিভাজনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেখানকার মানুষের অভাব, দারিদ্রকে পুঁজি করে তাঁদের ভাগ করার চেষ্টা বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী।
এর আগেও কখনও গোর্খাল্যান্ড, কখনও কামতাপুরী নাম নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার এই দাবির বিরোধিতায় এবার তৃণমূলের পাশে বাম ও কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক যেভাবে রাজ্যকে ভাগ করার দাবি জানাচ্ছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রকাশ্যে এই দাবির বিরোধিতায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন : প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ আটকাবো: উদয়ন
রাজ্যের অখণ্ডতার স্বার্থেই এই বিভাজনের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন সুজন চক্রবর্তী ও অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক এইসব বিভাজনের কথা বলছেন। অথচ তাঁদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি জানেন না, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অধীরের অভিযোগ, এর আগে যেভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার চক্রান্ত হয়েছে, এবারেও নতুন করে তা কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। নির্বাচন-পরবর্তী পর্যালোচনায় রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতির আমদানি করতে চাইছে বিজেপি। এই পরিকল্পনা রুখতে প্রশাসনের তরফে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের বিভাজনের দাবির বিরোধিতা করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের মানুষকে বিজেপির এই পরিকল্পিত চক্রান্ত রুখতে সচেতন থাকার পরামর্শ বাম ও কংগ্রেস শিবিরের।