তৃণমূলকে অতিরিক্ত আক্রমণ নাকি, বিজেপির প্রতি নরম মনোভাব। ভোটে ভরাডুবির কারণ কোনটা, তা নিয়ে আলোড়ন সিপিএমের অন্দরে। এর সঙ্গেই আইএসএফ নিয়ে অস্বস্তি কাটিয়ে উপ-নির্বাচনের আগে ঘর গোছাতে নাজেহাল বাম ও কংগ্রেস শিবির। তবে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা খোলাখুলিই স্বীকার করে নিয়েছে সিপিএম। রাজ্য কমিটির বৈঠকে ভোটে ভরাডুবি নিয়ে খসড়া রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে।
আরও খবর:বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর তৃণমূল নেতার
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বাম শিবিরে। এ বার বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস কেউই খাতা খুলতে পারেনি। নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, নাকি জোটে আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি তা নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নে ইতিমধ্যেই সিপিএম জেলা নেতৃত্বের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও ২০১৮ র পার্টি কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে পার্টি সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। বরং নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং জনসংযোগে খামতিই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতার দায় ঝেড়ে কংগ্রেস ও আইএসএফকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ঠিক হবে না এমনটাই বলছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সীতারাম ইয়েচুরি। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে অনেক বেশি সংখ্যক তরুণ মুখের অংশগ্রহণ ছিল। নির্বাচনে ধাক্কা খেলেও এই তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনে নেতৃত্বে নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়েও ইতিবাচক বার্তা দেন ইয়েচুরি।
অন্যদিকে, নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সমাবেশ মঞ্চে আইএসএফ নিয়ে অধীর চৌধুরীর প্রকাশ্য অসন্তোষ অস্বস্তিতে ফেলেছিল বামেদের। হাইকমান্ড নিযুক্ত পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্ট আসার পর বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরেও। জোটে আইএসএফ থাকায় সংযুক্ত মোর্চার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর বলেছেন, আই এস এফের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও জোট হয়নি। বামেরা ওদের আসন ছেড়েছিল।