কলকাতা: তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম। বিধানসভায় বসছে সর্বদলীয় বৈঠক। আর বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথম এই বৈঠকে থাকছেন না বাম এবং কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি। ২০২১-এর নির্বাচনে দুই দলের ঝুলিতেই শূন্য আসন।
সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠক। অধিবেশন শুরুর আগে তিনটি রাজনৈতিক দল এক সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবে সোমবার। প্রথম বারের জন্য এই বৈঠকে থাকছে না বাম এবং কংগ্রেস। থাকছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং আইএসএফের পক্ষ থেকে নওশাদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: বাবুলের গড়ে তৃণমূলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
আগামী ২রা জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন বিধানসভা অধিবেশন। বিধানসভা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৬ জুলাই ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষের বাজেট পেশ হবে। তার আগে সোমবার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেম্বারে প্রথম বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক হবে। তারপর হবে সর্বদলীয় বৈঠক। বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে দিলীপ, দেখা নেই বার্লার
২০২১ এর বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ভোট হয় ২৯২ টি আসনে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ২১৩ টি আসন। আর বিজেপি পায় ৭৭ টি আসন। এবারের নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস আর আইএসএফ মিলে জোট করে প্রার্থী দেয়। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যায় বাম আর কংগ্রেসের খাতা শূন্য। একমাত্র জেতেন জোট প্রার্থী আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। ফলে এবারের বিধানসভায় নেই বাম ও কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক। যা ১৯৪৬ সাল থেকে হওয়া বিধানসভা ভোটের ইতিহাসে প্রথম। এ বারের বিধানসভায় আরও একটি বিষয়ে নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের। প্রথমবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মুকুল রায়। বিজেপি’র হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জেতেন তিনি। কিন্তু তারপর তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি। বিধানসভায় নিজের আসন বদলের জন্য কোনও আবেদন জানাননি। ফলে ‘শাসক’ দলের মুকুল সম্ভবত বিধানসভার বিরোধী বেঞ্চেই বসবেন।