বিজেপির শেষের শুরু। উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন প্রসঙ্গে আজ সোমবার একথা বললেন মুকুল রায়। এদিন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ একঝাঁক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি
গঙ্গাপ্রসাদবাবু ছাড়াও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরের জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র বারা, সম্পাদক বিনোদ মিনস, কালচিনি বিধানসভার কনভেনর কিপাশংকর জয়সওয়াল, উপ-কনভেনার ঈশ্বর বিশ্বকর্মা, জেলা নেতা কষিম পাকিম।
যোগদান পর্ব শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন মুকুল বলেন, এটা পূর্বাভাস মাত্র। গত লোকসভা নির্বাচনেও প্রথম বিজেপি আসন পেয়েছিল উত্তরবঙ্গে। সেখান থেকেই ওদের ভাঙন শুরু হল। দলীয় সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: আমি কেচ্ছা বড় ভালোবাসি
২০১৯-এর লোকসভা ও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ৭ জেলায় ৫৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ২১টি পেয়েছে তৃণমূল।
সেকারণেই তৃণমূল শিবিরের বড় চিন্তা এখন উত্তববঙ্গ। তাই এই ৭ জেলার সংগঠনের হাল ধরতে সামলাতে এবার মুকুলকেই মাঠে নামাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির জমি বিতর্কে সাংবাদিক-সহ তিন জনের নামে এফআইআর
মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরে ভাঙন আরও বেড়েছে। এর আগে শনিবার তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি নেতা তপন সিনহা। মুকুল রায় যেদিন তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।