কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য বিজেপির কোন্দল বেড়েই চলেছে। এবার মেদিনীপুর জেলা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন খোদ বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ছাড়াও ওই গ্রুপ ছেড়েছেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা, বিজেপি নেতা সাহেব দাস। এর ফলে নন্দীগ্রামেও বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নতুন মোড় নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার নিয়েছে। দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির কোন্দল মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে জেলায় জেলায় বিজেপির মধ্যে রীতিমতো বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় একাধিক নেতা-বিধায়ক এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পর্যন্ত দলের অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। নতুন কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকায় খোদ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি এবং মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বহু বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: KIFF: আজ শুরু কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, বিকেলে উদ্বোধন মমতার
তবে বিরোধী দলনেতার নিজের জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার বিষয়টা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলীয় সূত্রের খবর, রবিবারই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলায় ৪২টি মণ্ডলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদেরই অধিকাংশ মণ্ডলের সভাপতি করা হয়েছে। এ নিয়ে দলের অন্দরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, জেলা সভাপতি তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছেন। এই ক্ষোভেই বিরোধী দলনেতা এবং ময়নার বিধায়ক জেলা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে শুভেন্দু কিংবা তপনের কোনও প্রতিক্রিয়া এ ব্যাপারে পাওয়া যায়নি।