তমলুক: মহিষাদলের বিজয়া সম্মেলনীর (TMC Meeting) মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, একমাস পর শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরোধী দলনেতা পদটা চলে যাবে। দুই ‘বেসুরো’ সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন অখিল। টাকার লোভে তাঁরা সাংসদ পদ ছাড়ছেন না বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী।
অখিল বলেন, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশিরবাবুর। সামনে পুরসভা ভোট, তাই পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন। গাড়ি নিয়ে বিজেপির অফিসে যাচ্ছেন, অথচ পদটা ছাড়ছেন না। ৩ লক্ষ টাকা বেতনের লোভেই পদ ছাড়তে পারছেন না উনি।’ শুভেন্দুর উদ্দেশে অখিল বলেন, ‘আগে তোমার বাবাকে বলো পদত্যাগ করতে, তার পর মুকুল রায়ের ব্যাপারটা দেখা যাবে।’
শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অখিলের কটাক্ষ, তমলুকের মানুষ কি মুখ দেখে ভোট দিয়েছিল? উত্তম কুমারের মতো দেখতে বলে? মানুষ ভোট দিয়েছে প্রতীকে। আর এখন পদ বা দল ছাড়ছেন না উনি। তলে তলে তৃণমূলের সর্বনাশ করেছে।
আরও পড়ুন: রবীন মণ্ডল খুনে গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ পবিত্র কর
দলত্যাগী কর্মীদের তৃণমূলে নেওয়ার প্রসঙ্গে এ দিন মুখ খুলেছেন অখিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে যারা বিজেপিতে চলে গিয়ে যারা গরম গরম কথা বলেছেন, নেত্রীকে কটুক্তি করেছে, তাঁদেরকে আমরা দলে নেব না। যারা ভুল বুঝে চলে গিয়েছিলেন, নরমপন্থী, তাঁদের আমরা দলে ফিরিয়ে নিচ্ছি।’
বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে অখিল গিরি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেনকুমার মহাপাত্র, মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ভাঙন বিজেপি শিবিরে
কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের গতিবিধি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপি সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছিলেন তাঁরা। কাঁথিতে অমিত শাহের সভামঞ্চে শিশিরকে দেখা গিয়েছিল। আবার হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি কর্মসূচির মঞ্চে হাজির ছিলেন দিব্যেন্দু।