কলকাতা : কথায় আছে চুল আর মূল কখন ছোট হয় না। মাথায় চুল উঠে গেলে তা ছোট বা বড় হওয়ার প্রশ্ন থাকে না। কিন্তু ছেলের গালে দাড়ি গজায়। এবং তাও কখনও ছোট হয় না। প্রয়োজনে তা ছেঁটে বা কামিয়ে ফেলা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক অতীতে আলোচনা শুরু হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি নিয়ে।
চলতি বছরের শুরুর দিন থেকেই দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছিল। মার্চ-এপ্রিল মাসে ভোটের পর মে মাসের দ্বিতীয় দিনে ফল প্রকাশিত হয়। সেই সময় থেকেই দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর গালে লম্বা দাড়ি। আগেও তাঁর গালে দাড়ি থাকতো। তবে তা ছিল ছোট করে ছাঁটা। চলতি বছরে সেই লুকসের বদল করেন প্রধানমন্ত্রী। গাল ভর্তি লম্বা দাড়ি রাখতে শুরু করেন মোদি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফের বোধহয় দল হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লুকস।
প্রধানমন্ত্রীর লম্বা দাড়ি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। বাংলায় ভোটের কারণে লম্বা দাড়ি রেখে গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি রবি ঠাকুর সাজতে চাইছেন বলে কটাক্ষ করেছিলেন অনেকে। বাঙালি আবেগ জয় করাই নাকি ছিল তাঁর লক্ষ্য। গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের সময়েও মোদির গালে দেখা গিয়েছিল লম্বা দাড়ি। যা দেখতে অনেকটা রবি ঠাকুরের মতোই। সেই দাড়ি নিয়েই নিয়মিত পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার করেছেন। দাড়ি নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা।
দাড়ি রাখা অবস্থায় ভিন্ন লুকে মোদি
অনেকে আবার এমনও বলতে শুরু করেছিল যে বাংলা জয়ের উপলক্ষ্যে মানসিক করেছেন মোদি। বঙ্গের বিধানসভা দখল করার পরেই নাকি দাড়ি কাটবেন বা ছাঁটবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির বঙ্গ বিজয় অধরা থেকে যাওয়ায় মোদির গালে থেকে যায় লম্বা দাড়ি। সেই সময়ে শোনা গিয়েছিল যে বাংলার মাটিতে তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হয়েই নাকি দাড়ি না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। উৎসবের মরসুমে ফের নয়া লুক দেখা গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এবং অবশ্যই তা দাড়ি নিয়েই।
গত অগস্ট মাসে অলিম্পিক প্রতিযোগিতার সময়ের একটি ছবিতে মোদির লম্বা দাড়ি দেখা গিয়েছিল। সেই সকল দাড়ির অগ্রভাগ সমান ছিল না। কিছুটা হলেও তা যেন ছিল অগোছালো। সেপ্টেম্বর মাসে সেই লুকসের কিছুটা বদল ঘটেছে। মার্কিন সফরে যাওয়ার সময়ে বিমানে থাকা অবস্থার যে ছবি টুইট করা হয়েছে সেখানে মোদির দাড়ি অন্যরকম। সুন্দর করে সাজানো। দাড়ির অগ্রভাগ সমান রয়েছে। যা গত মাসে ছিল না। তবে কি দীর্ঘদিন পরে বিদেশ সফরে যাওয়ার সময়ে দাড়ির উপর বিশেষ চর্চা করেছেন প্রধানমন্ত্রী? সেই প্রশ্ন উঠছেই।