নয়াদিল্লি: ২৫ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল। জয়প্রকাশ নারায়ণের দুই শিষ্য সেই সময় থেকেই আলাদা পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন। তার পর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের পর ফের একছাতার তলায় শরদ যাদব (Sharad Yadav) এবং লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। কয়েকদিন আগেই শরদ ঘোষণা করেছিলেন, লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) সঙ্গে মিশে যাবে তাঁর লোকতান্ত্রিক জনতা দল (LJD)। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দুই দল মিশে (LJD RJD Merger) গেল। আর তার পরই লালুর ছেলে তেজস্বীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল শরদের মুখে। এর পালটা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বললেন, ভারতীয় রাজনীতিতে শরদ যাদবের অবদান সকলেই জানেন। উনি আমাদের পথ দেখাবেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব এদিন বলেন, তেজস্বীর নেতৃত্বের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আরজেডির সঙ্গে আমাদের দলের সংযুক্তিকরণ বিরোধী ঐক্যের প্রথম পদক্ষেপ। বিজেপিকে পরাজিত করতে বিরোধীদের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সংহতিই আমাদের অগ্রাধিকার। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। দুই দলের সংযুক্তিকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপিকে রুখতে দেশে এখন শক্তিশালী বিরোধী শক্তি প্রয়োজন। সমমনস্ক এবং জনতা দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীদের একত্রিত করার কাজ অনেকদিন থেকেই করে আসছি। সেকারণেই আমার দলকে আরজেডির সঙ্গে মিশিয়ে দিলাম।
১৯৯৭ সালে লালু-শরদের বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সময় লালুপ্রসাদ যাদব আরজেডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শরদ যাদব জেডি (ইউ)-এর জন্ম দেন। বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে মতবিরোধের জেরে ২০১৮ সালে সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) থেকে বেরিয়ে গিয়ে লোকতান্ত্রিক জনতা দল (এলজেডি) গঠন করেন শরদ যাদব। তবে ২০১৯ সালে মাধেপুরা কেন্দ্র থেকে লালুর দলের টিকিটেই লোকসভা ভোটে লড়েন তিনি। যদিও সেবার জয়ের মুখ দেখতে পারেননি শরদ। অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন শরদ। চলতি বছর জুনে আরজেডি শরদ যাদবকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে।
আরও পড়ুন: Manipur CM Biren Singh: সব জল্পনার অবসান, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং-ই