নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরোনের পর পরই পিএফে সুদের হার কমিয়েছে কেন্দ্র। ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সুদের হার করা হয়েছে ৮.১ শতাংশ, যা চার দশকে সর্বনিম্ন। এদিকে সোমবারই খুচরো মূল্যস্ফীতি ও পাইকারি মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সরকার। দুই ক্ষেত্রেই ঊর্ধমুখী মূল্যস্ফীতির হার। পিএফে সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী।
টুইটে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘সরকারের ভুল নীতির ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৫.১ শতাংশ, পিপিএফে ৭.১ শতাংশ, ইপিএফে ৮.১ শতাংশ। খুচরো মূল্যস্ফীতি ৬.০৭ শতাংশ, পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১৩.১১ শতাংশ। জনগণকে সামান্য স্বস্তি দেওয়া কি সরকারের দায়িত্ব নয়? পরিসংখ্যানের পাশাপাশি, রাহুল তাঁর টুইটে সুদের হার হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির চিহ্নও রেখেছেন।
২০১৪-তে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফিক্সড ডিপোজিট সহ অন্যান্য আমানতে বেশ কয়েকবার কমানো হয়েছে সুদ। পিএফের সুদের হারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। করোনার জন্য গত দু-বছর পিএফে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ রাখা হলেও, ৫ রাজ্যের ভোটের মিটতেই একধাক্কায় ০.৪ শতাংশ সুদ কমিয়েছে মোদি সরকার। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ৬ কোটিরও বেশি কর্মচারী। সেই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন রাহুল।
আরও পড়ুন: EPFO Interest Rate Slashed: চার রাজ্যে ভোটে জিতেই পিএফের সুদের হার কমাল মোদি সরকার
सरकार की ग़लत नीतियों का परिणाम आम नागरिक झेल रहा है:
FD: 5.1% ?
PPF: 7.1% ?
EPF: 8.1% ?Retail Inflation: 6.07% ?
Wholesale Inflation: 13.11% ?जनता को राहत देने की ज़िम्मेदारी क्या सरकार की नहीं है?
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 15, 2022
কেন্দ্রীয় সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে ইপিএফের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদের হার পর্যালোচনা করে। ২০১২-১৩ সাল থেকেই ধাপে ধাপে অনেকবার কমেছে ইপিএফের সুদের হার৷ শুধুমাত্র ২০১৫-১৬ সালে সুদ কিছুটা বেশি ছিল, ৮.৮০ শতাংশ। তারপর থেকে ধাপে ধাপে একাধিক বার এই সুদের হার কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। যা সাত বছরে সর্বনিম্ন ছিল। এবারে আরও কমেছে এই সুদ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের৷