কলকাতা: তালিবানের কাবুল দখলের এক মাস পরে বিজেপির বাবুলকে দখল করেছে তৃণমূল। যা নিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। বিজেপির বড় উইকেট ফেলার পরেও তৃণমূলের দাবি, “আরও খেলা হবে।”
ভোটের আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। সেই খেলা জারি রয়েছে নির্বাচনের পরেও। ভবানীপুর উপনির্বাচনের মুখে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হতেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাবুল। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জিততে পারেননি। সেই সময়ে ভোটারদের উপরেও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিখ্যাত গায়ককে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের সঙ্গে ‘ঝলমুড়ি রফা’ হয়েছে বাবুলের, কটাক্ষ অনুপমের
সেই বাবুল এখন তৃণমূল শিবিরে। আসানসোলের দুইবারের সাংসদের মতো আরও পদ্ম শিবিরের আরও অনেক নেতা তৃণমূলের আসতে চলেছেন বলে দাবি করছে ঘাস ফুলের নেতানেত্রীরা। ওই স্লোগানের স্রষ্ঠা দেবাংশু ভট্টাচার্য টুইটারে লিখেছেন, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদান করলেন। এভাবেই খেলা হয়। খেলা হবে।” তৃণমূলের অপর মুখপাত্র উত্তরবঙ্গের সুপ্রিয় চন্দ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “অতঃপর? পরের নামগুলো সব অর্থেই অভাবনীয়। চমক আসছে। অপেক্ষা করুন।”
Former Central minister Babul Supriyo joins AITC.
That is how #Khela happens!#KhelaHobe pic.twitter.com/l6Nc7vd6X0
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) September 18, 2021
Khela Hobe https://t.co/RqZswtW6qw
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) September 18, 2021
বাবুলের দলবদলের পরে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো ব্যক্তিদের মুখেও শোনা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির বিপুল খরচ করে জনপ্রতিনিধি কেনাবেচাকে।
Dear Noida media:
A sitting BJP Lok Sabha MP & a star campaigner for the Bhabanipur by polls ditched the BJP today.
Didn’t require resorts, chartered flights, & bags of cash like your “Chanakya” does.
Worry about Punjab later.
Have the guts to show what a joke BJP has become?
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) September 18, 2021
খুব স্বাভাবিকভাবেই আলচনায় উঠে আসছে আরও একগুচ্ছ নাম। যাদের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে পদ্ম ছেড়ে ঘাস ফুলের পতাকাতলে যাওয়ার। তালিকায় বিধায়কের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক সাংসদ। শীর্ষে থাকছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন- ‘অপমান আর সহ্য হচ্ছিল না’, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা অমরিন্দরের