কলকাতা: ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ওদের জনপ্রতিনিধিরাই সে কথা বলছে। রাজনীতি- উন্নয়নে না পেরে, এজেন্সি কাজে লাগিয়ে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে তৃণমূলকে। সোমবার এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।
তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য দাবি করেন, বাংলার বিজেপি থেকে আরও অনেকেই যোগাযোগ করছেন। ত্রিপুরার বিধায়করাও যোগাযোগ করছেন। তবে তিনি কারোর নাম করেননি। ত্রিপুরার পরিস্থিতি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বিধায়করা রাস্তায় বসে যাচ্ছেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসা-দায়বদ্ধতা না থাকলে এটা হবেই। শুধু ক্ষমতা জাহির করব, কাজ করব না, মানুষকে পরিষেবা দেব না, এটা হতে পারে না।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ত্রিপুরার বিজেপি নেতারাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কারণ ওরা বুঝতে পারছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে রাজনীতি করতে চাইছে, সেটা ভারতের সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপদজনক। ত্রিপুরার যে ৫ জন ওদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছে, হয়তো তাঁদের গ্রেফতার করবে, গাড়ি ভাঙচুর করবে। কোনও রকম বিরোধিতা তো বিজেপি পছন্দ করে না! ত্রিপুরার বিজেপির অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক
ত্রিপুরায় তৃণমূলের ক্রমাগত আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারের বিজেপি একহাত নেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ত্রিপুরা ‘ভ্যালি অফ ফিয়ার্স’-এ পরিণত হয়েছে। সে কারণেই সামান্য সংগঠনের কাজ করতে গেলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের হোটেল দেওয়া হয়নি, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেউলিয়া ও দিশেহারা রাজনীতি করছে বিজেপি। ব্রাত্য দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পা রাখলে ‘সুনামি’ ঘটবে। আগের দিনের মিছিলেই তাঁর প্রমাণ মিলেছে।