লখনউ: বিমানবন্দরে তখন উৎসাহ-উদ্দীপনার ধ্বনি৷ ঠেলাঠেলি হুড়োহুড়ি৷ তার মাঝেও পরস্পরকে উপহার-শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না৷ একই ভাবে সেরে নিলেন প্রাথমিক কথা৷ তাঁরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)৷
উপলক্ষ্য উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন৷ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মমতার সুসম্পর্ক বহুজন বিদিত৷ বরাবরই মমতার ডাকে রাজ্যে এসেছেন অখিলেশ যাদব৷ গত বিধানসভা ভোটেও মমতার হয়ে বঙ্গে দেখা দিয়েছিল অখিলেশ যাদব এবং কিরণ্ময় নন্দকে৷ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে সেই অখিলেশের সমর্থনে প্রচারে গেলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী৷
এ দিন বিমানবন্দরে অখিলেশ যাদব ফুলের তোড়া নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে এগিয়ে এলেন৷ সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে শুরু করলেন, না না। এসবের এখন কী দরকার ছিল। কেন নিয়ে এসেছ। ভোট নিয়ে তুমি চিন্তিত। তোমার সময় নষ্ট করার নয়৷ ভাই জিতে আসার পর সব হবে৷ নাছোড় বান্দা অখিলেশ৷ অখিলেশ বলেন, ‘‘আপনি তিনবার হারিয়ে এসেছেন৷ আপনার সম্মান ও শুভেচ্ছার জন্য নিয়ে এসেছি৷ আমাদের ছেড়ে আপনি আবার ফিরে যাবেন৷ এটা সামান্য৷ বলতে বলতে নিজে হাতে একটা শাল মমতার কাঁধে জড়িয়ে দিলেন৷’’ কথা তখনও চলছে দু’জনের..কাল মঙ্গলবার কোথায় প্রচার, কোন প্রার্থীর প্রচার..ব্যস্ততার মাঝে থাকতে পারবেন না..ইত্যাদি বলতে বলতে মমতা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নানা কাজের শিডিউল বলতে শুরু করেন৷ অখিলেশকেও পাল্টা উপহার দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
আগামিকাল মঙ্গলবার অখিলেশের সঙ্গে অখিলেশের সঙ্গে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি৷ এই মুহূর্তে দেশে নিঃসন্দেহে মোদি বিরোধী প্রধান মুখ মমতাই৷ তৃণমূল নেত্রীর মতো, পথে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি কোনও রাজনৈতিক দলকে৷ যেভাবে বাংলায় বিজেপির গতি স্তব্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা মোদি-অমিত শাহদের কাছে একটা বড় শিক্ষা৷
আরও পড়ুন-শাহরুখের ‘ফু’ দেওয়ার অর্থ মুক্তির পথ দেখানো, বলছে ইসলাম ধর্ম, পাশে দাঁড়ালেন তসলিমাও
কীভাবে বাংলায় বিজেপির রথ আটকে এবং তৃণমূলের উন্নয়নের পতাকা এগিয়ে নিয়ে চলে ছিলেন মমতা সেই বার্তায় আগামিকাল দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিকাল অখিলেশের সঙ্গে যৌথ ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি বিরোধী কী রূপরেখা এঁকে দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ৷ উত্তরপ্রদেশ তথা গোবলয়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী বিজেপি বিরোধী সুর কতটা চড়াতে পারেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই৷