কলকাতা: উত্তর-পূর্ব ভারতের একজন রাজনীতিককে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় জায়গা করে দিয়েছেন মমতাদি। এটা একটা নতুন ইতিহাস। এর প্রভাব গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে পড়বে। কলকাতা টিভি ডিজিটালকে সোমবার এ কথা বললেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব।
মানস ভুইয়ার পদত্যাগের ফলে খালি হওয়া রাজ্যসভার আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। এ দিন তিনি বিকেল সাড়ে ৩’টে নাগাদ মনোনয়ন জমা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভা উপনির্বাচনে সুস্মিতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না বিজেপি, টুইট শুভেন্দুর
তৃণমূলের পাখির চোখ যে ত্রিপুরা তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সুস্মিতার কথায়। তিনি বলেন, আমার চেষ্টা থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ত্রিপুরার কীভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়। অন্যান্য রাজ্যের দায়িত্ব পেলেও চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস ত্রিপুরাবাসী ২০২৩-সালে তৃণমূলকে সরকার গঠনের সুযোগ দেবে।
বিপ্লব দেব সরকারকেও একহাত নেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ। সুস্মিতার অভিযোগ, ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ৩ বছরে কোনও কাজ করেনি। ত্রিপুরায় বিজেপিও অশান্তি সৃষ্টি করছে। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনওরকম হিংসায় মদত দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাবার রাজনৈতিক পরম্পরায় ত্রিপুরা তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি করতে চান সুস্মিতা দেব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। সুস্মিতার কথায়, ইডি, সিবিআই, নরেন্দ্র, মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা সবাই মিলে মমতাকে ‘আক্রমণ’ করেও বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কিছু করতে পারেনি। যুদ্ধ জিতে দেখিয়েছেন মমতা। তিনি গোটা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা।