কলকাতা: আগামী সপ্তাহে দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর ঘিরে রাজধানীতে জোরাল জল্পনা। তৃণমূল সূত্রের খবর নেত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব-সহ চার রাজ্যের ভোটের আগে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারে মমতার এই সম্ভাব্য সফরে।
মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের আর্থিক বকেয়া দাবি করতে পারেন। এ ছাড়াও কথা হতে পারে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও। রাজ্য বিধানসভা ইতিমধ্যেই এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাস হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
কিন্তু এই রুটিন সাক্ষাৎকারে বাইরের কর্মসূচি গুলিই রাজধানীর জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে।
এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন? দেখা করবেন সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে? তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্র এ নিয়ে কিছু খোলসা করেনি। কিন্তু এর আগের দিল্লি সফরের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সব চেয়ে বেশি কংগ্রস থেকেই মুখ টেনেছে। তা সে অসমের সুস্মিতা দেব হোক বা গোয়ার লুইজিনহো ফলেইরও। দলের মুখপত্রতেও কংগ্রেসকে বারবার আক্রমণাত্মক ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। গোয়ায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলাখুলি কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এ ছাড়াও মেঘালয়ের কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমার সঙ্গেও তৃণমূলের কথা প্রায় এক রকম পাকা বলেই সূত্রের খবর। মমতা কি চাইবেন সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে ২০২৪-এর আগে রাজনৈতিক সমঝোতা আরও পোক্ত করতে?
আরও পড়ুন-হাত বেঁধে দুই কিশোরীকে বাইকে চাপিয়ে পাচারের চেষ্টা, আটকাল ট্রাফিক পুলিস
দুই, কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ তাঁদের দল থেকে লোক ভাঙিয়ে আসলে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন অবশ্য কংগ্রেসের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘সংসদের ভিতরে বাইরে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি সরকারে বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ব্যক্তিগত আক্রমণের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।’
তিন, রাহুল গান্ধি ফ্যাক্টর। তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রের বক্তব্য, সোনিয়া গান্ধি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তৃতীয় নাম রাহুল এসে পড়লেই, মোদি-বিরোধী জোট ধাক্কা খাবে। তৃণমূল বিরোধী শক্তির মুখ হিসেবে যে মমতাকেই দেখতে চাইছে সেটা স্পষ্ট। আবার তৃণমূল এটাও জানে যে, লোকসভা আসনের নিরিখে একশ’রও বেশি কেন্দ্রে লড়াইটা সরাসরি কংগ্রেস আর বিজেপি’র মধ্যে। সেখানে অন্য কোনও বিরোধীর অস্তিত্ব নেই।