কলকাতা: ইউপিএ-র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) বৃহস্পতিবার দিনভর কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা থেকে শুরু করে কপিল সিব্বল, দিগ্বিজয় সিং, অধীররঞ্জন চৌধুরী কেউ-ই ছেড়ে কথা বলেননি। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা তো ঝাঁঝাল আক্রমণে মমতার রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। ২০১২ সালে যিনি ইউপিএ (UPA)জোট ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি ৯ বছর পর কেন ইউপিএ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সে প্রশ্নও করেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আরও একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেন, মমতার ‘উন্মাদদশা’ শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র(Jago Bangla) সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে পালটা কটাক্ষ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের অন্যতম নেতা গুলাম নবি আজাদের একটি বিস্ফোরক টুইটের উল্লেখ করে, কংগ্রেস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের সপক্ষে জোরালো সওয়াল করা হয়েছে। সম্পাদকীয়র শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিপফ্রিজে কংগ্রেস’।
আরও পড়ুন – ইউপিএ-র প্রশ্নে মমতার মন্তব্যে তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘাত চরমে
কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের টুইট বার্তা ছিল, আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে না। আত্মপক্ষ সমর্থনে আজাদের এই টুইটকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।
বাংলার শাসকদলের মুখপত্র লেখা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস বহুদিন ধরেই বলে আসছে কংগ্রেস ব্যর্থ। ইউপিএ শেষ। গুলিম নবির কথায় তৃণমূলের দাবির প্রতিধ্বনিই শোনা গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস ব্যর্থ। বিরোধী জোট দরকার।
তৃণমূলের কটাক্ষ, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও কোথায় আক্রমণ! কংগ্রেসের মধ্যে সেই উত্তাপ ঝাঁঝটাই কমে গিয়েছে। দলের অন্দরেই শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে কোন্দল। এর প্রেক্ষিতেই বাংলার শাসকদলের মনে হয়েছে কংগ্রেস এখন ‘ডিপ ফ্রিজ’-এ।
আরও পড়ুন – রাজ্যের পেগাসাস তদন্ত, রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরকে নোটিস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী শক্তির জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তৃণমূলের মুখপত্রেও তারই প্রতিফলন ঘটেছে। বিরোধী শক্তির মুখ কে হবেন, তিনিই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মুখ কি না, মমতা মুম্বইয়ে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলেন, এটা এক্ষুনি বিচার্য বিষয় নয়। পরিস্থিতি ঠিক করবে।
তবে, ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, মমতাই এখন সর্বজনগ্রাহ্য বিরোধী মুখ, জনপ্রিয় মুখ। তাঁর দিকেই তাকিয়ে বিরোধী শক্তি।