কলকাতা: অভিযোগটা অনেক দিনের। কেন্দ্রের ধারাবাহিক বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে বাংলাকে। বাম আমলের বিপুল দুর্নীতি, আর্থিক বোঝা কাঁধে নিয়ে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকার রাজ্যের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। আর সেখানেই বারবার যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বঞ্চিত করে পিছন দিকে টানছে কেন্দ্র। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকেই একাধিকবার রাজ্যের প্রাপ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু বাংলাকে প্রতিবারই বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে।
সম্প্রতি করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ও মোদি সরকারের কাছে সাহায্য চেয়ে সাড়া মেলেনি। উল্টে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি একাধিক দিক থেকে সুবিধা পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যকে যেভাবে করোনা টিকা, আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে, তার বিন্দুমাত্র জোটেনি বাংলার ভাগ্যে। তথ্য বলছে, করোনায় বঙ্গে মৃত্যুর হার অন্য যে কোনও রাজ্যের থেকে কম। রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে করোনা মোকাবিলা করে গিয়েছে। যশ, আমফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু বাংলা সেই বঞ্চনার তালিকাকেই থেকে গিয়েছে। পাশাপাশি মমতার অভিযোগ, জিএসটি বা অন্যান্য ট্যাক্স বাবদ বিপুল টাকা কেটে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা ঘুরপথে বিপুল সুদ চাপিয়ে আমাদের দিচ্ছে। কখনও ধারের নামেও, কখনও সাহায্যের অজুহাতে। আসলে আমাদের টাকাই আমাদের কাছে পাঠাচ্ছে।
এদিনের মঞ্চ থেকে মমতা প্রশ্ন তোলেন, কোথায় গেল পিএম কেয়ারস ফান্ডের টাকা। করোনার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পরেও টাকার কোনও হিসেব নেই। তৃণমূল নেত্রীর আরও দাবি, কৃষকরা আন্দোলন করছে। তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাচ্ছে না। এই সরকার সব বিক্রি করে দিচ্ছে। ইতিহাস পালটে দিচ্ছে, সব কেড়ে নিচ্ছে, ওবিসি-সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করছে। আর গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে রাজনীতি করছে।
আরও পড়ুন: Modi-Mamata: ভোট এলেই সাধু সেজে টিভিতে ঢুকে যায়, মোদিকে খোঁচা মমতার
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৬১টি কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত ৩ বছরে ২৭ হাজারের বেশি পাট্টা দেওয়া হয়েছে। মতুয়ারাও জমির পাট্টা পাবেন। এর পরেই মমতার