দার্জিলিং: উত্তরপ্রদেশ ভোটের পর দফায় দফায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Fuel Price Hike) বেড়েছে। আর তা নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দার্জিলিং থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, উত্তরপ্রদেশ ভোটের পর জ্বালানির দাম বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পুরস্কার দিচ্ছে। বিজেপি মানুষের কথা ভাবে না। ভোট এলেই দিল্লির নেতারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে পাহাড়ে আসে। মানুষের স্বার্থ নয়, রাজনীতি তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আজ পাহাড় হাসছে। পর্যটকরা দলে দলে আসছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের এটা সহ্য হচ্ছে না। ভোট এলেই পাহাড়ে রাজনীতি করতে ছুটে আসেন তাঁরা। ভোটের পর তাঁদের আর দেখা যায় না।
পাহাড়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বাংলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত। সেখানে পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত। সমস্যাটা এখানেই। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে রয়েছে জিটিএ নির্বাচন। গতকালের পর আজই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই জিটিএ নির্বাচন করতে চলেছে রাজ্য। পাহাড়ে সবাই এককাট্টা হোন। শপথ নিন, ১০ বছর কোনও ঝগড়া করবেন না- এমন বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ভোটের আগে দিল্লির নেতাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি করার সুযোগ দেবেন না। পাহাড়ের ঐক্য ভেঙে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, কটাক্ষ মমতার।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিজেপি বিরোধিতায় জরুরি বৈঠক চেয়ে মমতার চিঠি
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমরা ক্ষমতায় এসে পাহাড়ে হাসি ফুটিয়েছি। রাজ্যের অন্য প্রান্তের মানুষের মত পাহাড়ের মানুষও আজ হাসতে পারছেন। শান্তিতে শ্বাস নিতে পারছেন। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী দিন জিটিএ নির্বাচনের মাধ্যমে পাহাড়কে আরও ঐক্যবদ্ধ করে তোলার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, দিল্লির নেতারা বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিন্দুমাত্র প্রয়োজন তাঁদের নেই। তাঁরা দাঁড়ানও না। তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী থেকে সবুজসাথী-বিধবা ভাতা, এমন একাধিক প্রকল্প আজ গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়েও ঘৃণ্য রাজনীতি করছে কিছু রাজনৈতিক দল।