শিলিগুড়ি: অশোক ভট্টাচার্যকে (Ashok Bhattacharya) সামনে রেখেই শিলিগুড়ি পুরবোর্ড (Siliguri Municipal Election) দখলের লড়াইয়ে নামতে চায় সিপিএম ও কংগ্রেস (CPM-Congress)৷ আজ সোমবার ঘোষণা হতে পারে পুরসভার ভোটের দিন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, হাওড়া এবং আসানসোলের পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট সম্পন্ন হবে। সবক’টি রাজনৈতিক দলই তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডকে নিয়ে সম্মেলন শেষ করে ফেলেছে। যদিও বাম থেকে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন কাউন্সিলরদের নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পাপিয়া ঘোষ কর্মীদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁর হয়েই কাজে নামতে হবে। কোনও দলবাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে চরম শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব তৃণমূলের মেয়র মুখ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। অপরদিকে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মেয়র মুখ সম্ভবত অশোকই৷ যদিও প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বয়সজনিত কারণে জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন৷ কিছুদিন আগেই তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়েছে। তিনি এবার ভোটে দাঁড়াতে নারাজ। কিন্তু সিপিএমের নেতৃত্ব অশোক ভট্টাচার্যকেই পুরভোটে মুখ করে লড়তে চাইছে। ইতিমধ্যেই সিপিএমের পক্ষ থেকে অশোকবাবুকে সামনে রেখে লড়াই করার সিদ্ধান্তের কথা রাজ্য কমিটিকে জানানো হয়েছে। রাজ্য কমিটি স্বীকৃতি দিলেই অশোকবাবুকে সামনে ভোটের ময়দানে ঝাঁপাবে বামেরা।
আরও পড়ুন: BJP: বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে দলীয় মহিলা সদস্যকে মারধরের অভিযোগ
যদিও এবার শিলিগুড়ি পুরভোটে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে চাইবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল৷ অবশেষে রবিবার দুই দলের জোটের কথা ঘোষণা করে সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দল যৌথ ভাবে লড়বে৷ শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে বামেরা এবং ১০টিতে কংগ্রেস লড়বে। বাকি ১৪টির আসনর রফা আর কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে৷
আরও পড়ুন: Bankura BJP: বাঁকুড়ায় ‘বিদ্রোহে’র আঁচ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন চার বিজেপি বিধায়ক
দীর্ঘদিন বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভা ২০০৯ সালের নির্বাচনে হাতছাড়া হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাম ও কংগ্রেসের জোট শিলিগুড়ির ক্ষমতা দখল করে৷ যা রাজ্য-রাজনীতিতে শিলিগুড়ি মডেল বলে পরিচিতি পায়৷ দু’পক্ষের দাবি, ২০১৫ সালের জয় পাওয়া ওয়ার্ডগুলি তাদের হাতে থাকবে৷ তখনই ৪৭টি ওযার্ডের মধ্যে বামেদের ২৩টি এবং কংগ্রেসের ৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া প্রায় নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। মূলত তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতেই কংগ্রেস-সিপিএমের এই আসন সমঝোতা।