কলকাতা: দলের অন্দরে কোন্দল ছিলই। এরই মাঝে বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত বাবুলের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মন্ত্রকের দায়িত্ব। যা নিয়ে দলের অন্দরে চাপা অসন্তোষ শুরু হয়। এরপরে আচমকা বিজেপি এবং সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও আসানসোলের সাংসদকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
আরও পড়ুন- অনলাইন গেমে বরবাদ ৪০ হাজার টাকা, মায়ের বকা খেয়ে আত্মঘাতী কিশোর
বিনোদন জগত থেকে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ৷ ভোটে জিতে সাংসদ তার পর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই৷ পরপর দু’বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবার সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন৷ এমনকী রাজনৈতিক সন্ন্যাসও নিতে চলেছেন তিনি৷ শনিবার বিকালে তাঁর ফেসবুক পোস্টে বারবার ‘চললাম, অলবিদা’ লিখে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়৷
আরও পড়ুন- ফেসবুক পোস্টে ‘অভিমানী’ বাবুল গৌরীপ্রসন্ন, হেমন্তেই ভরসা
যা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন যে বাবুল এখনও সাংসদ রয়েছেন। এরপরে নিজের ফেসবুক পোস্ট এডিট করে বাবুল স্পষ্ট করে দেন যে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে পোস্টের বেশ কয়েকটি লাইন মুছে দিয়ে দলবদলের রাস্তাও খুলে দেন। যা নিয়ে শুরু হ্য নানাবিধ জল্পনা।
আরও পড়ুন- সংসদে অচলাবস্থার কারণে ১৩৩ কোটি টাকা ক্ষতির দাবি
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “আমরা বাবুল সুপ্রিয়কে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছি না।” তিনি আরও বলেছেন, “খুব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে এটা একটা গিমিক। লোকসভা অধিবেশন চলছে, তিনি অধ্যক্ষের কাছে গিয়েই নিজের ইস্তফা দিতে পারতেন। সেসব না করে ফেসবুকে পোস্ট করছেন দিল্লির নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।” বাবুল সুপ্রিয়কে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা বলেও কটাক্ষ করেছেন কুণাল।
গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে ২০১৪ সালে প্রথম রাজনীতিতে প্রবেশ করেন বাবুল৷ সেই বছরই তাঁকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভোটের প্রচারে আসানসোলে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে৷’ মোদির কথা রাখেন আসানসোলবাসী৷ বিপুল ভোটে জিতিয়ে বাবুলকে সংসদে পাঠান ভোটাররা৷ ওই বছর রাজ্য থেকে দু’জন সাংসদ পায় বিজেপি৷ দু’জনকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন মোদি৷ এর পর ২০১৯ সালে সেই আসানসোল কেন্দ্র থেকে পুনরায় ভোটে দাঁড়ান বাবুল৷ ফের জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন৷ তবে একুশের ভোটে বিপর্যয় সব ওলট-পালট করে দেয়৷