কলকাতা: রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। বুধবার বিকেলের দিকে বিধানসভায় গিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকেই উপযুক্ত প্রার্থী বলে মনে করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- ‘জাগো বাংলায়’ অনিল বিশ্বাস কন্যার প্রবন্ধ, আলিমুদ্দিনর মুখে কুলুপ
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে রাজ্যসভায় প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা আর ফেলতে পারেননি মোদি-অমিত শাহের সমালোচক জহর সরকার। সেই অনুযায়ী নেওয়া হয় পরবর্তী পদক্ষেপ। এ দিন মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে গিয়ে বিধানসভার নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জহরবাবু।
আরও পড়ুন- বিজেমূল তত্ত্ব ভুল ছিল, তৃণমূলের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে জানাল CPI
২০০৯ সাল থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০১৯ সালে তাঁকে পরাস্ত করে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। ২০২০ সালে সেই হেরে যাওয়া প্রার্থীকে দীনেশ ত্রিবেদীকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকা সংসদের অধিবেশন চলার সময়ে ইস্তফা দিয়ে দেন দীনেশ।
আরও পড়ুন- আমি ক্যাডার, স্ট্রিট ফাইটার, থার্ড ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নের জবাবে বললেন মমতা
সেই ফাকা হওয়া আসনেই প্রাক্তন আইএএস জহর সরকারকে পাঠাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। আগামী মাসের ৯তারিখ ওই আসনের জন্য ভোট হবে। এখনও পর্যন্ত যা হিসেবে জহরবাবুর জয় নিশ্চিত। বিজেপি এখনও কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। করলেও সংখ্যার বিচারে এগিয়েই রায়েছেন মমতার পাত্র জহর সরকার।
আরও পড়ুন- বিজেপিকে হারাতে সবাইকে একজোট হতে হবে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মমতা
বরাবরই বিজেপির বিরোধী এই আইএএস আধিকারিক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে তাঁর সক্ষতা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গেও জহর সরকারের সম্পর্ক বেশ মধুর। উলটে মোদি-অমিত শাহের সমালোচনা করা এই ব্যক্তি আলাপন বিতর্কে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকের মতে, সেই কীর্তির পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে জহরবাবুকে।