কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জল্পনার অবসান। আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাটিদার সম্প্রদায়ের যুব নেতা হার্দিক প্যাটেল। বেশ কয়েকমাস ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে হার্দিকের বিরোধ চলছিল। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসে তাঁকে কার্যকরী সভাপতির আলঙ্কারিক পদে শুধু শুধু বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁকে কাজ করার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এদিন সকালে টুইটে হার্দিক লেখেন, ‘দেশবাসীর স্বার্থে আজ থেকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছি। ভারতের সফলতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জাতির সেবার মহৎ কাজে আমি একজন ক্ষুদ্র সৈনিক হিসেবে কাজ করব।’
বেশ কিছুদিন ধরে হার্দিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে আসছেন। অযোধ্যার মন্দির এবং হিন্দুত্ববাদের সমর্থনেও সম্প্রতি তিনি জোরালো ভাষণ দিচ্ছিলেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা রাম মন্দিরের সমালোচনা করায় হার্দিক তাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগে বলেন, কংগ্রেস হিন্দু ধর্মের বিরোধী। এই পাটিদার সম্প্রদায়ের নেতা খোদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, গত বছর গুজরাতে বিধানসভা ভোটের সময় তাঁকে কংগ্রেস কাজে লাগিয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই কংগ্রেস নেতারা আর তাঁকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না।
১৯ মে কংগ্রেস ছাড়ার আগেই হার্দিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের নাম এবং পতাকা সরিয়ে ফেলেন। তখন থেকেই রাজনৈতিক মহলে তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চর্চা চলছিল। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বের তরফে হার্দিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি গুজরাতে না দিল্লিতে, কোথায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেবেন। হার্দিক জানিয়ে দেন, গুজরাত যেহেতু তাঁর রাজনীতির বিচরণক্ষেত্র, তাই গুজরাতেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
केन्द्रीय स्वास्थ्य एवं परिवार कल्याण मंत्री डॉ. मनसुख मांडवीय जी को जन्मदिन की अनंत शुभकामनाएं। प्रभु श्री राम से आपके दीर्घायु और स्वस्थ जीवन की प्रार्थना करता हूँ। @mansukhmandviya
— Hardik Patel (@HardikPatel_) June 1, 2022
আরও পড়ুন: Mahatma Gandhi: ব্রিটিশ সেনা নয়, দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল দলের সঙ্গে মহাত্মা, পর্দা ফাঁস ভুয়ো ছবির
২০১৬ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় কংগ্রেস হার্দিককে কাজে লাগিয়ে পাটিদার সম্প্রদায়ের অনেক ভোট আদায় করেছেন। বিধানসভা ভোটের সময় হার্দিক ছিলেন দলিত আন্দোলনের বড় মুখ। আর এক যুব নেতা জিগনেশ মেবানিকেও কংগ্রেস সঙ্গে পেয়েছিল। সেইবার গুজরাতে অল্পের জন্য জিতে যায় বিজেপি। হার্দিক যোগ দেন কংগ্রেসে। বিধানসভা ভোটে হার্দিক এবং জিগনেশকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল গান্ধী জোরদার প্রচারও চালিয়েছিলেন।