তমলুক: শেষ রক্ষা হল না। অভিষেকের নির্দেশে তমলুক ব্লকের পদমপুরের প্রধান ও উপপ্রধান গ্রেফতারির পরেও সেই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বাম বিজেপির সমর্থনে নির্দলের প্রধান উপপ্রধান ।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে টানা দুমাস ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কোচবিহার থেকে শুরু করে গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পৌঁছেছেন দলের নম্বর টু। জনজোয়ার যাত্রায় অভিষেক তখন কোলাঘাটের (Kolaghat) দিকে যাচ্ছিলেন, আচমকাই পদমপুরের মহিলারা রাস্তায় নেমে নেতার পথ আটকে দিলেন।তারপর স্থানীয় ওই মহিলারা মানসী দাস নামে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেতার কাছে নালিশ ঠোকেন। অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত প্রধান বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ায় বিনিময়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে টাকা নেন।ওই অভিযোগ ওঠার পরই দল ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: গল্ফগ্রিনে চুরির সন্দেহে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত, গ্রেফতার যুবক
উল্লেখ্য, পদুমপুর-১ পঞ্চায়েতে এবার ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৯টি বিজেপি ৩টি বামফ্রন্ট ৩টি এবং নির্দল ৫টি আসনে জিতেছে। ফলে পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। শুক্রবার বোর্ড গঠন সভায় তৃণমূল তরফে প্রধান পদে নাম প্রস্তাব হওয়ার পরেও নির্দল সদস্য দোলন মাইতির নাম প্রস্তাব হয়। ভোটাভুটিতে ১১-৯ ভোটে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থী দোলন মাইতি। একইভাবে উপপ্রধান পদে ও তৃণমূলের শান্তনু দাসের নাম প্রস্তাব হলে বিরোধী পক্ষের নির্দল সদস্য সুদর্শন মাজীর নাম প্রস্তাব করা হয় ভোটাভুটিতে উপপ্রধান পদে জয়ী হয় সুদর্শন মাজী। তমলুক ব্লকের পদমপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত বাম জামানায় ২০০৩ সাল থেকেই ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অবশেষে কুড়ি বছর পর ক্ষমতা হস্তান্তর হল বাম বিজেপির সমর্থনে। বাম দিকে তুই যাবি, গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির রুখতে নির্দলের প্রধান কে সমর্থন করেছে।