সৌমেন শীল, কলকাতা: পাগল নিজেকে সুস্থ মনে করে এবং অন্য সকলকে পাগল মনে করে। ঠিক তেমনই ফ্যাসিস্ট সিপিএম(CPIM) কখনই নিজেদের ফ্যাসিজমের কথা স্বীকার করে না। রাজ্যের পূর্বতন শাসককে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বর্তমান শাসকদলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। যার পালটা জবাব দিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- অবাধ্য ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অধিকার বাবা মাকে দিল হাইকোর্ট
দিন কয়েক আগে তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলা পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখেন অজন্তা বিশ্বাস। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছিল। এই অজন্তা বিশ্বাস হলেন প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা। অনিলবাবু সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক ছিলেন এবং সিপিএম-র মুখপত্র গণশক্তির সম্পাদক ছিলেন। সিপিএম নেতার মেয়ে এবং দলের সদস্যা অজন্তার কলমে বিরোধী তৃণমূল নেত্রীর বন্দনা ক্ষুব্ধ হয় আলিমুদ্দিন। সেই কারণেই তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএমের অধ্যাপকদের শাখা।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর কারণেই ভাঙছে বিজেপি, দাবি অনুব্রতর
যা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য সিপিএম-কে ফ্যাসিস্ট বলে আক্রমণ করেন। তাঁর মতে, “পৃথিবীর প্রত্যেক পাগল গোটা দুনিয়াকে পাগল ভাবে এবং নিজেকে সুস্থ ভাবে। সিপিএমের সমস্যা হল তাঁরা বিশ্বাস করতে চান না যে তাঁরা ফ্যাসিষ্ট।” নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে তিনি লেখেন, “গণশক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপন নিয়ে মোদির ছবি ফ্রন্ট পেজে ছাপাবে ‘ব্যবসায়িক স্বার্থে’, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অর্জুন সিংয়ের মত বিজেপি নেতাদের কেস লড়বেন ‘প্রফেশনাল স্বার্থে’, কিন্তু ‘লেখিকা’ অজন্তা বিশ্বাস জাগোবাংলায় লিখতে পারবেন না! এটাকেই ফ্যাসিজম বলে।”
আরও পড়ুন- উলটপুরাণ, বেশি করে গোরুর মাংস খাওয়ার পরামর্শ বিজেপি মন্ত্রীর
যার পালটা জবাব দিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “অজন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে সিপিএম-র সম্পর্ক আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ঠিক যেমন তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবাংশুর সম্পর্ক। তাই আমাদের দল বা অজন্তা বিশ্বাসকে নিয়ে দেবাংশুর বক্তব্যের কোনও মূল্য নেই। আমাদের দলের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে ওদের মতামত চাই না।”
আরও পড়ুন- অলিম্পিকে পদক পেলেই কোটিপতি করে দেবেন যোগী
সেই সঙ্গে শতরূপ আরও বলেছেন, “দেবাংশু জাগো বাংলা-র নিয়মিত পাঠক, তাঁকে অভিনন্দন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা ডাকে বুম্বা, কাক ডাকে হাম্বা, গরু ডাকে অম্বা-র মতো অর্থহীন কবিতা পড়তে হতো। এখন ওই পত্রিকায় অজন্তা বিশ্বাসের লেখা অর্থপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে। সেগুলো দেবাংশু এখন পড়তে পারবে। তাই দেবাংশু-সহ জাগো বাংলার সকল পাঠককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।”