কলকাতা: আগের থেকে দৈনিক করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে৷ কয়েক মাস আগে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ১৬ থেকে ১৭ হাজার ছিল, সেই সংখ্যাটা ৬০০- তে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও কবে উপনির্বাচন হবে তা জানায়নি নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার লবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে দ্রুত উপনির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যে জায়গায় উপনির্বাচন হবে সেখানকার পরিস্থিতি ভাল। তাই এটাই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। এই সময় সকলে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।”
নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দ্রুত উপনির্বাচন করানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও নির্বাচন কমিশন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করছে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
রাজ্যের বকেয়া সাত বিধানসভার মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রর দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কারণ, এই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন৷ মনে করা হচ্ছে, এই কেন্দ্র থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনের প্রার্থী হবেন।
বাকি ছয় বিধানসভা খড়দহ, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা উপনির্বাচন হবে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহা। সূত্রের খবর, খড়দহে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন৷ বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সাংসদ হিসাবেই কাজ করছেন তাঁরা। তাই, তাঁদের ছেড়ে যাওয়া দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভায় ফের ভোট হবে৷ কদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। গোসাবা আসনে ফের ভোট হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে বিধানসভায় ভোট গ্রহণ হয়নি। মুর্শিদাবাদ জেলার ওই দুই আসনেও ভোট হবে।