কলকাতা: শুধু কলকাতা হাওড়া নয়, রাজ্যের সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চাইছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল ২০২১ নিয়ে আলোচনার জন্যই তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিনি এই বিলে সই করেননি। ফলে হাওড়ার পুরসভার ওয়ার্ডগুলির নির্বাচন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় পুরনির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন আধিকারিককে ডাকায় আশা করা গিয়েছিল, মঙ্গলবার তিনি সংশোধন বিলে সই করতে পারেন। কিন্তু তিনি সৌরভ দাসকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সবক’টি বকেয়া পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে।
কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পরে আপত্তি তোলে রাজ্য বিজেপি। শুধু গেরুয়া শিবির নয়, তৃণমূল ছাড়া বাকি রাজনৈতিক দলগুলিও একই দাবিতে সরব হয়। কমিশনের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকেও একই দাবি তোলে বিরোধীরা। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
১১২টি পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে করানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় বিজেপি। তার ভিত্তিতে আদালত কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল বকেয়া পুরভোট একসঙ্গে নয় কেন। কমিশন ইতিমধ্যে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, একসঙ্গে রাজ্যে পুরভোট করানো বাস্তবিকই কমিশনের পক্ষে অসম্ভব। কারণ হিসেবে পরিকাঠামোর অপ্রতুলতার কথা তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় পুরভোট পিছতে তৃণমূলের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
কমিশন জানায়, রাজ্যে ১১২ পুরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন করানোর জন্য ৩০ হাজার ১৭৩ ইভিএম প্রয়োজন। অথচ নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) হাতে রয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। যার মধ্যে M1 ইভিএম ৭৮৫১টি এবং M2 ইভিএম ৭৮৩৬টি। এই সংখ্যক ইভিএম দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ১১২ পুরসভার একসঙ্গে ভোট সম্ভব নয়।তাই প্রথম দফায় পুরভোট হবে কলকাতা ও হাওড়ায়। ফলে পুরভোটের নির্ঘণ্ট কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল।